সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর আত্মীয়দের প্রিজাইডিংয়ে রাখার অভিযোগ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাট-২(কালিগঞ্জ-আদিতমারী) আসনে নৌকা মার্কার প্রার্থী সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়ার লিখিত অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে রির্টানিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক বরাবরে ১৮জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল হক।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নৌকার প্রার্থী নুরুজ্জামানের আত্মীয় প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা হলেন, কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজের সহকারী অধ্যাপক তৈমুর রহমান, প্রভাষক এরশাদুল হক, মাহবুবুর রহমান, গোলাম ফারুক, মোফাজ্জল হোসেন, লুতফর রহমান, জাকির হোসেন, মাহবুবুল আলম, ত্রিলোচন চন্দ্র সরকার, খাদিমুল বাশার, ঈমান আলী, লিপিকা চৌধুরী, আসাদুজ্জামান এবং কালীগঞ্জ তুষভান্ডার মহিলা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক সন্তোষ কুমার রায়, তপন কুমার রায় ও প্রভাষক আব্দুল লতিফ, পবিত্র কুমার রায় ও নুর ইসলাম।
এদের মধ্যে এরশাদুল হক হলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর শ্যালক, গোলাম ফারুক হলেন নিকট আত্মীয় ও লিপিকা চৌধুরী হলেন মন্ত্রীর ভাইয়ের স্ত্রী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক অভিযোগে দাবি করেন, করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজ ও মহিলা ডিগ্রী কলেজ প্রতিষ্ঠান দুটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। এই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মন্ত্রীর অনুগত। তারা বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এসব প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মন্ত্রীর পক্ষে ভূমিকা রাখবেন এবং ভোট কারচুপি করবেন।
সিরাজুল হক বলেন, এসব প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বাদ দেওয়া না হলে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে। সংশ্লিষ্ঠ কেন্দ্রগুলোতে নতুনভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করলে ভোটের পরিবেশ স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু থাকবে। তাই শুক্রবার রাতেই আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তা। রির্টানিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লালমনিরহাট-২ আসনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৪৪টি। এ আসনে ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪ লাখ ২ হাজার ২৯জন। এ আসনে মোট ৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।