১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

ঠান্ডায় কাবু উত্তরের জনপদ, দেখা নেই সূর্যের

আমাদের প্রতিদিন
6 months ago
200


নির্মল রায়,গঙ্গাচড়া (রংপুর):

পৌষের শেষ সময়ে ঘন কুয়াশার দাপট ও হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছে তিস্তাপাড়ের শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষজন। গত মঙ্গলবার থেকে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় দেখা মেলেনি সূর্যের।

বৃষ্টির ফোঁটার মতো পড়ছে কুয়াশা। যার ফলে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। ঠান্ডা উপেক্ষা করেই অনেকে মাঠে কাজ করছে।

রংপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যঅনুযায়ী, বুধবার রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পরিবেশ। কুয়াশার কারণে গ্রামের সড়কগুলোতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।

 শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে সময়মতো কাজে বের হতে পারছে না তারা। কমে গেছে দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্নআয়ের পেশাজীবীরা। চরাঞ্চলেও শীত উপেক্ষা করে কাজ করছে কৃষকরা।

উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের বিনবিনা চরের নওশা মিয়া (৫০) সকাল ৮ টায় চরে আবাদকৃত ভূট্টার গাছে পানি দিচ্ছেন এসময় তিনি বলেন, ‘হামার কৃষক মাইনষ্যের কি আর ঠান্ডা গরম আছে, হামাকগুলা কাম করি খাবার নাগে। একদিন কাম না করলে ভাত পেটোত যাবার নেয়। হামার ঠান্ডা হইলেও কি না হইলে কি?

 সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে শীত উপেক্ষা করে বাইসাইকেলে চালিয়ে রংপুর নগরীর দিকে যাচ্ছেন রাজমিস্ত্রী হামিদুর রহমান। তার সাথে কথা হয় নগরীর বুড়িরহহাট এলাকায় তিনি জানান, ‘ভাইরে হামার কি আর বশি থাকা কপাল। কাম না করলে কি হইবে।

এসময় কথা হয় লক্ষীটারী ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী এলাকায় আর এক রাজমিস্ত্রীর কাজল মিয়ার (৩৫) সাথে,কাজে রংপুর নগরী যাচ্ছেন তিনি। এসময় তিনি বলেন,‘ কয়দিন থাকি ঠান্ডায় হামার অবস্থা শ্যাষ। তারপরো কাম করি খাবার নাগে হামাক যতো কষ্ট হউক যাবার নাগবে।

সদর ইউনিয়নের গঙ্গাচড়া বাজারে কথা হয় ভ্যানচালক মজিবর আলীর (৫০) সাথে তিনি জানান, কয়দিন থাকি খুব শীত মানুষ ভ্যানোত উঠবারে চায় না। তারপরো ভ্যান ধরি বেরাইছি যেটুক কামাই হয় চলা লাগবে।

গঙ্গাচড়া উপজেলা নিবাহী অফিসার  নাহিদ তামান্না বলেন, ‘ উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে আমরা শীতার্ত অসহায় পরিবারের খবর পেলেই সেখানে কম্বল পৌঁছায় দিচ্ছি ।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়