চিলমারী-রৌমারী ঘাটে ৫দিন ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ
![](https://www.amader-protidin.com/storage/postpic/1705490753.webp)
চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ৫দিন ধরে আবারো ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।রৌমারী ঘাট এলাকায় একটি বক্্র কালভার্ট ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার কথা জানান বিআইডবিøউটিসি কর্তৃপক্ষ। কুটিরচর এলাকার কালভার্টটির উপর পণ্যবাহী গাড়ী ঊঠলে যেকোন সময় দেবে গিয়ে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাসীর দাবী।এদিকে দীর্ঘদিন ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে নদের খননকৃত চ্যানেল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে ধারনা করছেন বিআইডবিøউটিএ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে,বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডবিøউএ)’র উদ্যোগে চিলমারী-রৌমারী নৌপথে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহীসহ বিভিন্ন প্রকার পরিবহন পারাপার করে আসছে।ফেরী দুটি হলো-ফেরি কুঞ্জলতা ও ফেরি কদম।বর্তমানে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। নিয়মিত চ্যানেল খননের মাধ্যমে নাব্যতা সংকটকে অতিক্রম করে বিআইডবিøউটিএ নিয়মিতভাবে ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ী পারাপার করে আসছে। ফলে এই পথে প্রতিদিন ২৫-৩০টি পণ্যবাহী পরিবহন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করছে।
বর্তমানে রৌমারী ঘাট থেকে ২কি.মি.পরে কুটিরচর এলাকায় একটি পুরাতন বক্স কালভার্ট ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।সেখানে কালভার্টটির উপরের ছাদ দেবে যাওয়ায় উপরে মোটা কাঠ ফেলে হাল্কা পরিবহন ও মানুষ পারাপার করা হচ্ছে। কোন ভারি পরিবহণ তোলা হচ্ছে না। ফলে উঝুকিপূর্ণ ওই কালভার্টটির জন্য গত শনিবার (১৩জানুয়ারী) থেকে চিলমারী-রৌমারী ঘাটে ফেরি পারাপার বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ ৫দিনেও কালভার্টের কাজ শুরু অথবা বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা না করায় ফেরি চলাচল বন্ধের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের গাফিলতিকে দায়ি করছেন এলাকাবাসী।
বুধবার দুপুরে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,৫দিন ধরে ফেরি বন্ধ থাকায় রাস্তায় কয়েকটি পণ্যবাহী পরিবহন ফেরি পারাপারের জন্য অপেক্ষা করছে। এসময় মো.সোহেল মিয়া, রবিউল ইসলাম, আকরাম হোসেনসহ অনেকে জানান,ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক গুলো ট্রাক ফিরে গেছে।
ফেরি কুঞ্জলতার মাষ্টার অফিসার রেজাউল করিম জানান,রৌমারী ঘাট থেকে ২কি.মি.দুরে কুটিরচর ব্রিজটি যেকোন মুহুর্তে দেবে যেতে পারে সে শঙ্কায় ফেরি পারাপার বন্ধ রয়েছে। গত ১০জানুয়ারী ফেরি কুঞ্জলতা নিয়ে চিলমারী থেকে রৌমারী আসার পর আর চিলমারী ফিরে যাইনি। এরপর গত শনিবার ফেরি কদম ঝুকি নিয়ে কয়েকটি পরিবহন নিয়ে রৌমারীতে আসে। ব্রিজটির সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ফেরি বন্ধ থাকার কথা জানান তিনি।
বিআইডবিøউটিসি’র ম্যানেজার বাণিজ্য প্রফুল্ল চৌহান বলেন,আমরা এলজিইডির সাথে যোগাযোগ করেছি।তারা ব্রিজের সমস্যা সমাধান করা মাত্রই ফেরি চালু হবে। তবে বেশীদিন ফেরি বন্ধ থাকলে চ্যানেল বন্ধ হয়ে নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী মো.মামুনুর রহমান জানান,কুটিরচর এলাকায় ২০০১সালের দিকে কেয়ার বাংলাদেশের উদ্যোগে মানুষ চলাচলের জন্য বক্স কালভার্টটি নির্মাণ হয়েছিল,বর্তমানে এটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।নির্বিঘেœ ফেরি চলাচল করার লক্ষে আমরা ডাইভারসন রোডের স্টিমেট উপরে পাঠিয়েছি। অতিদ্রæত সময়ের মধ্যে অনুমোদন হয়ে আসবে