বিজিবি ও চোরাকারবারি সংঘর্ষে বাড়ি ছাড়া নারী পুরুষ
![](https://www.amader-protidin.com/asset/postpic.png)
রৌমারী সীমান্ত
মারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
ভারতীয় গরু উদ্ধারকে কেন্দ্র করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সাথে চোরকারবারিসহ গ্রামবাসী সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে সস্ত্র জোয়ানসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আলোচিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিজিবি, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন মিলে গ্রামটিতে যৌথ অভিযান চালায়।
অভিযানের পর থেকেই গ্রামের অধিকাংশই নারী পুরুষ বাড়ি ছাড়া হয়েছে। এতে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৫ জানুয়ারি।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে, সংঘর্ষের পর এলাকাটিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ততপর দেখাগেছে। তবে গ্রেপ্তার আতংকে গ্রামের মানুষজন। তবে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের বাড়ির নারি পুরুষ এখন শুন্য। সংঘর্ষে আহত নারী সোনারতি খাতুনের স্বামী মঞ্জনু মিয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সোনারতি খাতুন এখন রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।
স্থানীয় ও বিজিবি সূত্রে জানাগেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৩৫ জামালপুর ব্যাটালিয়েনর অধিনে দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার আঞ্জু মিয়ার নেতৃত্বে সস্ত্র জোয়ানরা ১৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে নয়টায় ভারতীয় গরু উদ্ধার করতে যায়। এতে জোয়ানদের বাধা সৃষ্টি করে গরুর মালিক মঞ্জু মিয়ার স্ত্রী সোনারতিসহ কয়েকজন। পরে এঘটনায় সংঘর্ষ বাধে এতে বিজিবি’র দুই সদস্য, এক নারিসহ ৫ জন আহত হয়।
এদিকে সোনারতী খাতুনের স্বামী মঞ্জু মিয়া সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন অন্যায় ভাবে বিজিবি আমার পালের (ঘরের) গরু গুলো ধরতে এসেছিল। এতে আমরা বাধা দেয়। কিন্তু আমারদের তারা (বিজিবি) লাঠিচার্জ করে। এতে লাঠির আঘাতে আমার স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরে আমার স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় গ্রামের লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পাশাপাশি আমাকে বুট দিয়ে চেপে ধরে এবং লাথি মারে বিজিবির সদস্যরা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান বলেন, এ ঘটনায় কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। তবে ইউএনও মহোদয়সহ বিজিবি, পুলিশ সে এলাকায় অভিযান চালায়।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় এক বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলা হয়েছে। যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে এবং চোরাচালান রোধ করতে এলাকার মানুষদেরকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় এখনও কোন মামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে ঘটনাটি আরও গভীরভাবে দেখে পরবর্তী জানানো হবে।