১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

কিশোরগঞ্জে টাকা ভাগাভাগি আলোর মূখ দেখেনি   স্কাভেনজিং পোলট্রি সেভ প্রকল্প

আমাদের প্রতিদিন
6 months ago
103


নীলফামারী প্রতিনিধি:   

বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য   অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার জোর দিলেও বাস্তবে আলোর মূখ দেখছে না প্রকল্প টি মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের নানামূখী দূনীতির অনিয়মের কারনে প্রকল্প টি মূখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ক্ষুদ্র খামারীদের স্কাভেনজিং পোলট্রি সেভ ও ভেড়ার পরিবেশ বান্ধব ঘর নির্মানে বরাদের ২২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ

উপকারভোগিদের। 

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রাণীসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) দেশি মুরগী ও ভেড়ার পরিবেশবান্ধব ঘর নির্মানের জন্য ১১৩ টি নারী খামারীদের নামে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দের টাকা গত জুনের আগেই খামারীদের নিজ নিজ হিসাব নম্বরে জমা করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই টাকা উত্তোলন করে খামারীরা নিজেরাই তাঁেদর ঘর নির্মান করবেন। উপকারভোগীদের অভিযোগ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল আজীজের নির্দেশে ইউনিয়ন এলএসপিগন তাঁদের অফিসে ডেকে এনে চেকে স্বাক্ষর নিয়ে উপকারভোগীদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে সমস্ত টাকা উত্তোলন করে নেন। উপকারভোগীদের অভিযোগ টাকা উত্তোলন করে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা রণচন্ডি ইউনিয়নের এলএসপি সেলিম এর মাধ্যমে দুর্বল ঘুনে ধরা কাটের বাকল,নিম্মমানের হালকা  টিন, ও কমদামের খুঁটি ব্যবহার করে ঘরগুলো তৈরী করেছেন। ঘরগুলো তৈরী করতে না করতেই সেগুলো নষ্ট হতে বসেছে। উপকারভোগিরা  বলেন ঘরপ্রতি বরাদ্দ ২০ হাজার টাকা থাকলেও প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা এলএসপিদের দিয়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যায় করে ঘর নির্মান করে বাকি টাকা আত্নসাৎ করেছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার কারনে তাঁদের নাম কেঁটে দেয়া সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। গত শনিবার সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের বাফলা গ্রামের ক্ষুদ্র খামারী হামিদা বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ভেড়ার ঘরটি তৈরী করার তিনমাসের মত হল। কে ঘর তৈরী করে দিয়েছেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার ইউনিয়নের এলএসপি মোঃ সেলিম হাসান নিজেই তদারকি করে ঘর নির্মান করে দিয়েছেন। আপনার নামে ঘর তৈরীর বরাদ্দের টাকা আপনি তুলেছেন কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সেলিম আমাকেসহ অন্যান্য উপকার ভোগীদের উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসে ডেঁকে এনে চেকে স্বাক্ষর করে নিয়েছে । টাকার কথা জানতে চাইলে সে আমাকে প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া সহ  বিভিন্ন  হুমকি ধামকি দেন। একই কথা  বলেন ওই গ্রামের উপকারভোগী হোসনে আরা বেগম ,পারভিন আক্তার বিউটি বেগমসহ আরো অনেকে।  । তারা বলেন আমরা  শুনেছি আমাদের  নামে ভেড়ার  ঘর তৈরীর জন্য ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ এসেছিল। ঘরগুলো তৈরীতে বাজার থেকে কেনা শুধুমাত্র  ৬টি ৭ ফিটের পিলার, ৯ ফিটের ২টি টিন, ৩০ ফিট নেট জালি, ৩০ থেকে ৩৫ টি ইট ও এক বস্তা সিমেন্ট, দুই সিএফটি কাট ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ঘর প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করা  হয়েছে বলে জানান তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রণচন্ডি ইউনিয়নের এলএসপি মোঃ সেলিম মিয়া উপকারভোগীদের অফিসে ডেকে এনে চেকে স্বাক্ষর নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ইউনিয়ন এলএসপি আমার উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ  যা বলেছে আমি তাই করেছি । গাড়াগ্রাম দেশি মুরগীর খামারী নারী উপকারভোগী পারভিন, স্বপ্না আক্তার , জরিনাসহ অনেকে বলেন, আমাদের মুরগীর ঘরগুলো নির্মানে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে। ঘরগুলো নির্মানের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এখনই ঘরের নিচের পিলার ভেঙ্গে গেছে, নেটগুলো খুলে গেছে। এই ভাঙ্গাঘরে মুরগী রাখা  উপযোগি হচ্ছে না পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।  উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নুরল আজিজের সাথে কথা বলার জন্য রবিবার সকাল ১০ টা ২০ মিনিটে তাঁর অফিসে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে তাঁর সাথে কথা বললে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, এ বিষয়ে কোন খামারী আমাকে লিখিত অভিযোগ দেয়নি। খামারীরা লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে   তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়