১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

পীরগঞ্জে ৩ শত হেক্টর জমিতে করা হয়েছে শিম চাষ

আমাদের প্রতিদিন
5 months ago
92


পীরগঞ্জ (রংপুর)প্রতিনিধিঃ

রংপুরের  পীরগঞ্জে শিমের ভালো দাম পেয়ে খুশি চাষিরা। পাইকারিতে শিমের কেজি ৫৫-৬০ বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে এবার শিমের দাম বেশি বলছেন ক্রেতারা। যদিও চাষিরা বলছেন, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার দাম একটু বেশি।

উপজেলা  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, এবার উপজেলার ৩ হাজার ৫ শত হেক্টর জমিতে শাকসবজি চাষ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে হাইব্রিডসহ কয়েকটি জাতের শিম

 প্রায় ৩ শ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে । তবে কাবিলপুর ইউনিয়নে অধিক হারে  শিম চাষে ঝুঁকছে চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম হলো শিম। কয়েক বছর ধরে উপজেলার  বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় শিম আবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। তবে ফলন ও বাজার পেয়ে তারা খুশি।

কাবিলপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের  শিম চাষি আতোয়ার রহমান বলেন, এখন আমার শিম চাষের  মাঝামাঝি সময়ে এসেছি । বর্তমানে পুরো দমে শিম বিক্রি করছি। শিম ব্যবসায়ীরা

প্রতিবছর গ্রাম থেকে কিনে বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীরা বিকালে জয়পুর গ্রামের তিন মাথায় থেকে শিম কিনে ট্রাক যোগে বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে যায়। বাড়িতে বিক্রি করে আমাদের অনেক সুবিধা।

তিনি আরও বলেন, ১০ শতাংশ জমিতে প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দেড় মন ছিম উঠে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। হয়তো বা শিম চাষের শেষ সময়েও একই পরিমান বিক্রি হতে পারে।

জামালপুর গ্রামের আবু তাহের মিয়া জানান, বৈশাখ মাসের শেষ সপ্তাহে জমি চাষ করে বরবটি লাগানো হয়। বরবটির আবাদ শেষ হলেই শ্রাবণ মাসে শিমের বীজ রোপণ করা হয়েছে। কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশি জাতের চিকন  শিমক্ষেতে ফুল ও ফল আশা শুরু হয়। এবছর  শিম চাষের রোগ বালাই কম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভালো ফলন হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এবছর বাজার অনেক ভালো।

এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম।

এছাড়াও এলাকার অধিকাংশ চাষিরা বলছেন, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পরিবেশ বান্ধব কৌশলে শাকসব্জী উৎপাদন বেড়েছে। সেই সাথে  বিষ মুক্ত নিরাপদ সবজির উৎপাদনও বেড়েছে। যে কারনে সবজি ব্যবসায়ীরা গ্রাম থেকে সুস্থ ও টাটকা শিম কিনে দেশের বিভিন্ন হাট বাজারে  আমদানি করে।

উপজেলা কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার  বলেন, এখানকার  মাটি ও আবহাওয়া শিম চাষের উপযোগী। এই অঞ্চলের মাটি উর্বর হওয়ায় কম খরচে বেশি শাকসবজি উৎপাদন সম্ভব। এ উপজেলার চাষিরা এখন নানা প্রযুক্তির মাধ্যমে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন সবসময় চাষিদের পরামর্শ দিয়ে আসছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়