১১ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

অনিয়মে জর্জরিত অভিরাম করিমিয়া আলিম মাদ্রাসা

আমাদের প্রতিদিন
5 months ago
301


গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুর মহানগরীর ০২ নং ওর্য়াডের অভিরাম করিমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি এবং সদস্যদের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পাঠদানের মান নিয়েও ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। ধীরে ধীরে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। অনিয়মে জর্জরিত হয়ে পড়েছে এক সময়ের সুনাম ধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি।

সরেজমিনে প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে আগে খুব ভালো পড়ালেখা হতো কিন্তু বর্তমান সময় পড়ালেখা ভালো না হওয়ায় এখন আর এই প্রতিষ্ঠানটিতে অভিভাবকরা সন্তানদের ভর্তি করায় না। আর যে কয়জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানে আছে তাদেরও ভালো করে পড়ালেখা হয় না। 

তারা আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মাওলানা মাহবুবুর রহমান, শামসুজ্জামান ও শাহানা প্রায় দুই বছর ধরে মাদ্রাসায় আসেন না। আর বাকি শিক্ষকরা আসলেও তারা শুধু মাঠে বসে থেকে চলে যান। এর আগে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়ায় শিক্ষকদের বেতন আটকে যায়। পরে অনেক জায়গায় তদবির করে বেতন চালু হয়। 

মাদ্রাসায় পড়ালেখার মান ভালো না হওয়ায় এখানকার বেশির ভাগ অভিভাবক তাদের সন্তানদের বাইরের স্কুলে পাঠান। 

মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি জামান উদ্দিন বলেন, আমি এই মাদ্রাসার শুরু থেকে প্রায় ১০-১৫ বছর দায়িত্ব পালন করেছি। কখনো এরকম হয়নি। নতুন নতুন লোক মাদ্রাসায় যোগ দিয়ে আজকে মাদ্রাসার এই অবস্থা। এখনকার কমিটি শুধু খাই খাই। আপনারা মাদ্রাসার ভেতরে গিয়ে দেখেন- বাচ্চাদের পড়ালেখার জন্য ক্লাসরুম নেই। আর সভাপতির বসার জন্য আলাদা ভিআইপি রুম করা হয়েছে। মনে হয় তাদের বাড়ি এটা। 

মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র গোলাম সরওয়ার ফারুক জানান, কিছুদিন আগে মাদ্রাসায় নিযোগ দিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বাণিজ্য করেছেন অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য। এছাড়া তিনজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থেকেও তাদের বেতন- ভাতা বাবদ প্রতি মাসে ১ লাখ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে। আবার শিক্ষকদের টিউশন ফি বাবদ বার্ষিক বরাদ্দ এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের জমি লিজ বাবদ যেসব টাকা আসে সেসব টাকাও তারা তাদের মত করে আত্মসাৎ করেন।  এই মাদ্রাসার শিক্ষার মানসহ সার্বিক পরিবেশ ফেরাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আজিজুর রহমান ও অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের সঙ্গে  যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি মাদ্রাসা চলাকালীন সময়েও মাদ্রাসায় গেলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন বলেন, মাদ্রাসাগুলো দেখার বিষয় আমাদের না। ঢাকা থেকে টিম এসে তারাই এসব বিষয়গুলো দেখেন।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়