১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকি, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আমাদের প্রতিদিন
5 months ago
142


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় সাংবাদিকদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রৌমারী—ঢাকা মহাসড়কের উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।

স্থানীয় সাংবাদিক মতিয়ার রহমান চিশতীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সাংবাদিক এসএম সাদিক হোসেন, শফিকুল ইসলাম, শওকত আলী, মাসুদ পারভেজ রুবেল, মুরাদুল ইসলাম মুরাদ, সুজন মাহমুদ, ইয়াছির আরাফাত নাহিদ, মাসুদ রানা, শহিদুল্লাহ কায়সার লেবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, গত ৯ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে ‘যাত্রামঞ্চে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান’ এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হন রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী। সোমবার দুপুর ২টার দিকে হাট—বাজারের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের কার্যালয়ে ডাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান। এ সময় কার্যালয়ে ঢুকে ‘দৈনিক বাংলা’র রৌমারী ও চররাজীবপুর উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রানাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজসহ তার বাবা—মায়ের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চেয়ারম্যান। তার এমন আচরণে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের নামে মামলা ও প্রাণনাশের হুমকিসহ অশালীন মন্তব্য করেন তিনি। পরে পরিস্থিতি শান্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে রৌমারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন সাংবাদিক মাসুদ রানা। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে তীব্র আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আমার বিরুদ্ধে হাজারও মানববন্ধন করলেও কোনো লাভ হবে না।

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সাংবাদিকদের মাঝে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। এতে উত্তপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।

 

  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়