১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসার সভাপতি’র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
5 months ago
118


গঙ্গাচড়া (রংপুর)প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসার সভাপতি’র বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। গত ২০ ফেব্রুয়ারী আরাজি নিয়ামত মৌলভীর বাজার দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার আবুল বাশার মোঃ লুৎফর রহমান মাদ্রাসার সভাপতি মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে গঙ্গাচড়া উপজলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে এ অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় মাদ্রাসাসহ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী আরাজী নিয়ামত মৌলভীর বাজার দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে আবুল বাশার মোঃ লুৎফর রহমান যোগদান করেন। পরবর্তীতে ওই মাদ্রাসাটি আলিম শ্রেণিতে পাঠদানের অনুমতি পায়। এরই মধ্যে ১৯৯৭ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর লুৎফর রহমান সহকারী সুপার হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ফ.ম ফজলুর রহমান অবসরে গেলে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে লুৎফর রহমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। মাদ্রাসার শিক্ষক স্বল্পতা দেখা গেলে এটিআরসি কর্তৃক সহকারী মৌলভী (ইংরেজি) হিসেবে মাসুদ মিয়াকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ মাদ্রাসার সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন আরাজী নিয়ামত গ্রামের ময়েন উল্লাহ সরকারের ছেলে মোশাররফ হোসেন ওরফে সুজা সরকার। । তিনি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বিধি বর্হিভূতভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লুৎফর রহমানকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদান করেন এবং তার ভাতিজা বউ মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী মোহছেনা খাতুনকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে পদায়ন করেন। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সুপার, সহকারী সুপার, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়োগে বাণিজ্যে মেতে উঠেন।

 সেই সাথে লুৎফর রহমানকে পূনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে বহালের জন্য ২ লাখ টাকা দাবী করেন। এতে লুৎফর রহমান সাড়া না দেওয়ায় তাকেসহ আরও নতুন নিয়োগ পাওয়া দুই সহকারী মৌলভী শিক্ষককে চাকুরীচ্যুত করে পূণরায় ওই পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারী করেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষক আবুল বাশার মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনামের সাথে পরিচালনা করে আসলেও মাদ্রাসার দূর্নীতিবাজ সভাপতি নানা অপকর্মে মেতে উঠেছেন। তিনি আমাকেসহ আরও নতুন নিয়োগ পাওয়া দুই শিক্ষককে বিনা কারনে চাকুরীচ্যুত করেছেন। সভাপতি মোশারফ হোসেন মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ আমাকে পূর্ণবহালের দাবী জানাচ্ছি।

আরাজি নিয়ামত মৌলভীর বাজার দাখিল মাদ্রাসার  সভাপতি মোশাররফ হোসেন ওরফে সুজা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করলে প্রকৃত তথ্য জানতে পারবে। আমি কোন দূর্নীতির সাথে যুক্ত নই এবং ক্ষমতার অপব্যবহারও করি নাই।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়