১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

ব্যতিক্রমী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ

আমাদের প্রতিদিন
5 months ago
179


দিনাজপুর প্রতিনিধি:

মহান একুশে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সারাদেশে যখন কংক্রিটের তৈরী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে, তখন দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক ব্যাতিক্রমী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। পাতাবাহারের জীবন্ত গাছ দিয়ে তৈরী নান্দনিক এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে সকলের নজর কেড়েছে তারা।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গুলিয়ারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ। সেই মাঠেই গ্রীলে ঘেরা সুসজ্জিত ফুলের বাগান। বাগানের এক কোণে কাঁটা মেহেদী গাছ। আর সেই গাছগুলো কেটে তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। শহীদ মিনারটিকে গাদা ফুল দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। এই নান্দনিক শহীদ মিনারটি ইতিমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসে সবাই যখন ইট—পাথর দিয়ে তৈরি তখন ব্যতিক্রম এই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস। মহান একুশের ফেব্রুয়ারীর দিনে বুধবার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে।

এই বাগান ও শহীদ মিনারের মূল কারিগর, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ছোটবেলা থেকেই বাগানের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক বেশি। সেই থেকেই বাগানে গাছ ও ফুল দিয়ে বিভিন্ন প্রতীক ও স্তম্ভ তৈরি করি। এর মধ্যে শহীদ মিনারটি অন্যতম। গত বছরের মত এবারো এই শহীদ মিনারটি সাজানো হয়েছে। বাগানের প্রতি শিক্ষার্থীদের সাথে দর্শনার্থীরাও অনেক বেশি আকৃষ্ট হয়। এটিই আমার বড় প্রাপ্তি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও এখানে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

খানসামা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার এসএমএ মান্নান বলেন, গুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে তৈরিকৃত শহীদ মিনারটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটির পেছনে যারা শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছেন, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

খানসামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন বলেন, এটি একটি সৃজনশীল কাজ। নিশ্চয়ই এটি প্রশংসার দাবিদার। এতে কোমলমতি শিশুদের মেধাবিকাশ ঘটবে।

খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিন বলেন, তিনি এই বাগান করে ইতিমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেধা বিকাশের জন্য এটি একটি সৃজনশীল উদ্যোগ।

 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়