নিয়োগের প্রলোভনে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
![](https://www.amader-protidin.com/storage/postpic/1709811945.webp)
নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের একটি মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের মোবারক আলীর ছেলে শফিউল ইসলাম গত (১৩ জুলাই) ২০১৬ ইং তারিখে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকা মারফত জানতে পারেন যে ভেড়ভেড়ী কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসায় নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে একজন নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি উক্ত পদে সুপার বরাবর আবেদন করেন। তাকে চাকুরি দেয়াড় প্রলোভন দেখিয়ে ওই মাদ্রাসার সুপার নূহ ইসলাম তার কাছ থেকে নগদ ৬ লক্ষ টাকা নেয়। পরবর্তী সময়ে আরো ৬ লক্ষ টাকা দাবি করলে ভুক্তভোগী শফিউল ইসলাম সুপারের দাবিটি পূরণ করতে ব্যর্থ হলে অন্য একজনকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেন। এ ব্যাপারে কয়েকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ওই সুপার ২ লক্ষ টাকা ফেরত দেন। অবশিষ্ট ৪ লক্ষ টাকা দিচ্ছি দিচ্ছি বলে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা করে আসছে।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শফিউল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন— স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সুপার নূহ ইসলাম আমাকে ২ লক্ষ টাকা দেন এবং বলেন অবশিষ্ট ৪ লক্ষ টাকা কিছুদিন পর দিব। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে অবশিষ্ট ৪ লক্ষ টাকা চাইলে তিনি দিচ্ছি দিচ্ছি করে আমাকে হয়রানি করছে। ওই সুপার নিয়োগের কথা বলে আরও অনেকের কাছে টাকা নিয়ে হয়রানি করছে বলে আমি শুনেছি। আমার টাকা উদ্ধারের জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছি। তিনি আরও বলেন— আমি বর্তমানে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েছি। দেনার দায়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। তাই আমি ওই সুপারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও আমার টাকা উদ্ধারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ভেড়ভেড়ী কামাল উদ্দিন দাখিল মাদ্রাসার সুপার নূহু ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন— তার সাথে সবকিছু মিটমাট হয়ে গেছে, ওর সাথে দ্বিতীয় আর কোন কথা নাই, পরিশোধ হয়ে গেছে। কত টাকা তাকে ফেরত দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন— মোকছুদার মেম্বারের সাথে কথা বলেন বলে ফোন কলটি তিনি কেটে দেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এটিএম নূরুল আমিন শাহ্ এর সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন— তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আশিক রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- এ বিষয়ে আমার কোন জানা নেই।