১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

কুড়িগ্রামে ১ বছরে ৩২ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার

আমাদের প্রতিদিন
4 months ago
32


কুড়িগ্রাম অফিস:

কুড়িগ্রামে গত ১ বছরে প্রায় ৩২ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন  জানায়, জেলার সকল থানায় গত ১ বছরে ৬৭৮টি মাদক মামলা করা হয়েছে।

এতে ৮৫০ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। অপর দিকে এক বছরে , ১ হাজার ৬২২ কেজি গাঁজা, ৪ হাজার ৫১৬ বোতল ফেনসিডিল, ৬০ হাজার ১৪১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৪১৪ বোতল ইস্কাফ, ১ হাজার ১১৪ বোতল বিদেশি মদ, ১৫০ লিটার দেশীও মদ ও হিরোইন ২২৮ গ্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। সব মিলিয়ে এসব মাদকদ্রব্যের মুল্য দাড়িয়েছে প্রায় ৩২ কোটি টাকা।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা। এ জেলার সাথে ভারতের সীমান্ত প্রায় ২৬৮ কি: মি:।

এখানে ছোট বড় মিলে ১৬টি নদ নদী রয়েছে। প্রতিবছর বন্যা ও নদী ভাঙনে অসংখ্য মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়। নদীতে বিলীন হয় শত শত বিঘা ফসিল জমি। যার কারণে এখানকার মানুষেরা হয়, আরও দরিদ্র। এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই কৃষি নির্ভর। এ জেলাতেই এতো মাদকের ছড়াছড়ি। তবে গত এক বছরে ব্যাপক পরিসরে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করার ফলে পুলিশের প্রশংসা করছেন এখানকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। তবে তারা বলছেন, পুলিশ সবসময় তৎপর থাকলে হয়তো মাদকদ্রব্য আরও অনেকাংশে কমে আসতে পারে কুড়িগ্রামে।

কুড়িগ্রামের প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি এ কে এম সামিউল হক নান্টু বলেন, এতো মাদক উদ্ধার অবশ্যই এটি ভালো কাজ পুলিশের। তারা যদি আর এ কাজটি ভালো ভাবে করে তাহলে হয়তো মাদক অনেকটা কমে যাবে কুড়িগ্রামে। তবে মাদক নির্মুল করতে হলে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা। আর অভিভাবকের খোঁজখবর নিতে হবে তাদের সন্তান কোথায় যায় কি করেন।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের বন্দর পাড়া এলাকার মামুনুর রশীদ বলেন, আগে তো আমাদের এলাকায় প্রচুর মাদকের কারবার চলত। তবে এখন কিছুটা কমেছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যদি সবসময় তৎপর থাকে সেক্ষেত্রে হয়তো মাদক আরও কমে আসতে পারে।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, মাদকের উপর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করছি আমরা।

পুলিশ সদস্যরা অনেক পরিশ্রম করছে। যার কারণে ব্যাপর পরিমাণ মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এখানে যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকবে, আমরা তাকেই আইনের আওতায় আনবই।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়