১১ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

গঙ্গাচড়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  অনিয়মের অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
4 months ago
166


চর উন্নয়ন প্রকল্প

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারের চর উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্বজনপ্রীতি করে তালিকা তৈরি ও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে কম ওজনের ছাগল এবং ভেড়া কেনাসহ বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন এই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নদী বিধৌত চর উন্নয়ন প্রকল্পের ১০০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ৩০০টি ভেড়া, ১০০ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে ২০০টি ছাগল ও ১০০ জন সুফলভোগীকে ছাগল ও ভেড়ার ঘর এবং প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৯টি পিজি গ্রুপের মাঝে ৯টি মিস্কিং মেশিন বিতরণের জন্য স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তালিকা করেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা। এরমধ্যে

সোমবার বিকেলে ৫০ জন সুবিধাভোগীকে ভেড়া, ১৬ জনকে ছাগল এবং ৩০ জনকে ভেড়ার ঘর বিতরণের জন্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপজেলা পরিষদ মাঠে আসেন রংপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু।

প্রত্যেক সুবিধাভোগী দুটি করে ভেড়ী ও একটি ভেড়া ও দুটি করে ছাগল পাবেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে বিতরণ সামগ্রী নিয়ে। ম্যানুয়াল অনুযায়ী বিতরণের জন্য ভেড়ার ওজন ৮-১০ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও বিতরণের জন্য নিয়ে আসা বেশিরভাগ ভেড়ার ওজন ছিলো ৪-৫ কেজি। এছাড়া ভেড়ার ঘরের নির্মাণ সামগ্রীও ছিল নিম্নমানের। এসব দৃষ্টিগোচর হয়  স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলুর। পরে তিনি ম্যানুয়াল অনুযায়ী মেপে সঠিক ওজনের  ভেড়া ও ছাগল রেখে ওজনে কম গুলোকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে ১৫০টি ভেড়া ও ভেড়ীর মধ্যে ওজনে কম হওয়ায় ৬০টা বিতরণ করে ৯০টা ফেরত এবং ৩২টা ছাগলের মধ্যে ২৮টা বিতরণ করে ৪টা ফেরত দেয়া হয়। এছাড়া ভেড়ার ঘরের নির্মাণ সামগ্রী নিম্নমানের হওয়ায় সবগুলো ঘর ফেরত দেয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে,  ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রকল্পের অর্থ লোপাট করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাখাওয়াত হোসেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা  প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মালামাল সরবরাহের টেন্ডার হয় ঢাকায়। আর ঠিকাদাররাই মালামাল সরবরাহ করেন। এর সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ম্যানুয়াল অনুযায়ী ছাগল, ভেড়া ও ভেড়ার ঘরের নির্মাণ সামগ্রী না হওয়ায় ফেরত দিতে বলেছি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করেছি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়