১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

রংপুরে ইফতারের বাজারে আগুন

আমাদের প্রতিদিন
4 months ago
149


নিজস্ব প্রতিবেদক:

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেলেও প্রথম রমজানে জমে উঠেছে ইফতার বাজার। গতকাল মঙ্গলবার রমজানের প্রথমদিনে রংপুর নগরীর কাচারিবাজার, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, শাপলা চত্বর, মেডিকেল মোড়, সিও বাজার, লালবাগ, সাতমাথা, মর্ডাণ মোড় ও মাহিগঞ্জ সহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুপুরের পর থেকে দোকানগুলোতে ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রেতার ব্যস্ততা সরগরম হয়ে ওঠে ইফতার বাজার। তবে এবার সেই চিত্র এখনও দেখা যায়নি। নিম্ন আয়ের মানুষজনসহ শ্রমজীবিরা দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন। তারপরেও রংপুর নগরীসহ জেলার আট উপজেলায় ছোট—বড় সব ইফতার দোকান মিলে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রির আসা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতারা, বাজার মনিটরিং দাবি করেছেন।

রংপুরের ইফতারের ঐতিহ্যে রয়েছে শাহী জিলাপি, হালিম, ছোলা, বুন্দিয়া, বেগুনি, পেয়াজু, ডিম চপ, সবজি রোল, ছানার পোলাও, হালুয়া, বুট বিরিয়ানি, ঝুরিয়া মুড়ি। আর কদর রয়েছে জিলাপি, বুন্দিয়া, বেগুনি, পিঁয়াজি আর হালিমের।

রোজাদারদের কাছে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের খেজুর ও মুড়ি। এবার খেজুর প্রকার ভেদে সাড়ে তিনশত টাকা থেকে ১২শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মুড়ির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে জিলাপি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা ছিল। বুন্দিয়া ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, সিদ্ধ ছোলা ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, ছানার পোলাও ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, বেগুনি ১০ থেকে ২০ টাকা পিস, আলুর চপ ৫ থেকে ২০ টাকা, পেয়াজু ৫ থেকে ১০ টাকা, সবজি রোল ১০ থেকে ২৫ টাকা, শামী কাবাব ২০ থেকে ৫০ টাকা, নিমকপোড়া ও চিড়া ভাজা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রেশমি জিলাপি ৩৬০ টাকা, শাহী হালুয়া প্রতি পিস ২০ টাকা, প্রতি হালি কলা প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

নগরীর জাহাজ কোম্পানী মোড় এলাকায় ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা নুর মোহাম্মদ রিজু  ও মিঠু মিয়া নামের দুইজন ক্রেতা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ইফতার সামগ্রীর দাম ডাবল হয়েছে।

কয়েকজন ক্রেতা জানান, দাম বাড়ার কারণে ইফতার আইটেম কম কিনেছি। এ কারণে অনেকেই তাদের পছন্দনীয় ইফতার ক্রয় করতে পারছেন না।

আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, আটা, ময়দা, তেলের যে পরিমাণ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সে তুলনায় দাম বাড়েনি ।

কয়েকজন ক্রেতার অভিযোগ, ইফতার সামগ্রীতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও রঙ। কর্তৃপক্ষের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ছোট বড় মাঝারিসহ অধিকাংশ দোকানে দেদার এসব ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা হচ্ছে। আর আমার মতো ক্রেতারা বাধ্য হচ্ছে এই বিষাক্ত খাদ্য ক্রয় করতে।   

সর্বশেষ

জনপ্রিয়