১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ - 29 April, 2024
amader protidin

রোজা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা, জেনে নিন সমাধান

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
136


চলছে পবিত্র মাহে রমজান। এ মাসে রোজাদাররা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই মুখে দেবেন না। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পানাহার থেকে বিরত থাকা ও বেশি সময় ধরে প্রার্থনার ভেতর দিয়ে মুসলমানরা এ মাসে নতুন করে আত্মশুদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করেন।

আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়। তবে এটি নিয়ে বেশ কিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান, যেগুলো নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। আসুন জেনে নেই সে সম্পর্কে বিশুদ্ধ কিছু মতভেদ-

 

ব্রিটেনে অ্যাডভান্সড (অগ্রসর) ইসলামী বিজ্ঞান ও শরিয়া আইনের ছাত্র সাব্বির হাসান তার ধর্মীয় জ্ঞান প্রয়োগ করে এগুলোর বিশ্লেষণ করেছেন–

 

দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙে যায় :

 

রোজা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা, জেনে নিন সমাধান

রমজানে বিতরের জামাত ছুটে গেলে করণীয়

অনেক মানুষ মনে করেন পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভেঙে যায়। কিন্তু ইসলামী চিন্তাবিদরা বলেন, দাঁত ব্রাশ করলে রোজা ভাঙে না।

 

সাব্বির হাসান বলেন, সবচেয়ে ভালো পরামর্শ অল্প পরিমাণ পেস্ট নিন। মিন্টের গন্ধ কম এ রকম পেস্ট ব্যবহার করুন। এ ছাড়া গাছের সরু ডাল থেকে তৈরি মিসওয়াক বা দাঁতন ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

মুখের লালা পেটে ঢুকলে রোজা থাকে না :

 

সাব্বির হাসান বলছেন, ‘মুখের লালা পেটে ঢুকলে কোনো অসুবিধা নেই। নিজের লালা গলাধঃকরণ করা খুব স্বাভাবিক একটি শারীরিক প্রক্রিয়া, এতে অবশ্যই রোজা ভাঙে না।’

 

ভুল করে খেয়ে ফেললে রোজা ভাঙবে না :

 

আপনি যদি ভুলে কিছু খেয়ে ফেলেন, তা হলেও আপনার রোজা বৈধ থাকবে। তবে বোঝার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। তবে নামাজের আগে অজুর সময় যদি আপনি অনিচ্ছাকৃতভাবে পানি খেয়ে ফেলেন, তা হলে রোজা ভেঙে যাবে। কারণ এই ভুল এড়ানো সম্ভব।

রোজা রেখে ওজু করার সময় গারগল না করতে পরামর্শ দেয়া হয়। শুধু কুলি করে পানি ফেলে দিন।

অসুস্থ থাকলে রোজা রাখা আবশ্যিক নয় :

মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি) আন্তর্জাতিক গ্লুকোমা সমিতির সঙ্গে যৌথ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে- রোজা রেখেও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা যাবে। যেমন চোখের ড্রপ।

এমসিবি বলেছে, চোখের ড্রপ, কানের ড্রপ বা ইনজেকশনে রোজা ভাঙবে না। তবে যেসব ওষুধ মুখে দিয়ে খেতে হয়, সেগুলো নিষিদ্ধ। সেহরির আগে এবং ইফতারির পর তা খেতে হবে।

হাসান বলেন, ‘প্রথম কথা আপনি যদি অসুস্থ থাকেন, তা হলে ভাবতে হবে আপনি রোজা আদৌ রাখবেন কিনা? কারণ কোরআনে পরিষ্কার বলা আছে, আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো চলুন।

যে কোনো পরিস্থিতিতেই রোজা রাখতে হবে :

অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বা, দুর্বল, ভ্রমণকারীর জন্য রোজা আবশ্যিক নয়। ইসলামে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক (সাধারণত ১৫ বছর) এবং সুস্থ ব্যক্তির রোজা ফরজ বা আবশ্যিক করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়