কমিটি দ্বন্দ্বে চার মাস ধরে বেতন বন্ধ
![](https://www.amader-protidin.com/storage/postpic/1711285943.webp)
টাপুুুরচর নাছিরিয়া দাখিল মাদ্রাসা
রৌমারী (কড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার টাপুরচর নাছিরিয়িা দাখিল মাদ্রাসার কমিটি দ্বন্দ্বে চার মাস ধরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন—ভাতা বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষক—কর্মচারীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
জানাগেছে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিক একটি প্রত্রিকায় সুপারসহ ৫টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন মাদ্রাসা কতৃর্পক্ষ। এ নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে সভাপতি আব্দুস সালাম ও ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল বাতেনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হলে শিক্ষক—কর্মচারীদের বেতন—ভাতা উত্তোলন বিলে সভাপতি স্বাক্ষর না করায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাস ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেতন—ভাতা বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও নিয়োগকে কেন্দ্র করে সভাপতি বাদে কমিটির সকল সদস্য পদত্যাগ করেন। এঘটনায় সাধারণ শিক্ষক—কর্মচারী বেতন—ভাতা উত্তোলনে বেপাকে পড়েছেন।
নামপ্রকাশে অনুচ্ছিক কয়েকজন শিক্ষক বলেন, নিয়োগকে কেন্দ্র করে আমরা সাধারণ শিক্ষক—কর্মচারী কেন মাসিক বেতন—ভাতা বঞ্চিত হচ্ছি। কোন কতৃর্পক্ষও বিষয়টি দেখছেন না। তাই দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করে আমাদের বেতন—ভাতা দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল বাতেন বলেন, পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি বেতন—ভাতা বিলে স্বাক্ষর না করায় চার মাস ধরে শিক্ষক—কর্মচারীদের বেতন—ভাতা বন্ধ রয়েছে। বারবার তাঁর কাছে গেলেও বেতন—ভাতা বিলে স্বাক্ষর করবেন না বলে জানান। পরে বিষয়টি ইউএনওসহ বিভিন্ন কতৃর্পক্ষে জানালেও শিক্ষক—কর্মচারীদের বেতন—ভাতা উত্তোলন করতে পারিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সভাপতি পাঁচটি পদে একাই নিয়োগ দিবেন বলে বিভিন্ন প্রার্থীর কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়েছেন। তাই কমিটির বাকি সকল সদস্য পদত্যাগ করেছেন। ফলে বেতন—ভাতা তুলতে আরও জটিল হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে থেকে কমিটির পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে তদন্ত হয়েছে। হয়তো বা দ্রুত নতুন কমিটি অনুমোদন চাইবেন অধিদপ্তর।
শিক্ষক—কর্মচারীদের বেতন—ভাতা বন্ধ এবং সার্বিক বিষয় জানতে মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মো. আব্দুস ছালাম জানান, যে কারণে শিক্ষক কর্মচারীদের বিলে স্বাক্ষর হয়নি। তা হলো ভারপ্রাপ্ত সুপার নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। তাই বেতন—ভাতা বিলে স্বাক্ষর দেওয়া হচ্ছে না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, নিয়োগ দেওয়ার নাম করে কোনও প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। কেউ বললে তা মিথ্যা।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান জানান, কমিটি সংক্রান্ত একটি চিঠি মাদ্রাসা অধিদপ্তর দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।