১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

গঙ্গাচড়া  ও কাউনিয়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত

আমাদের প্রতিদিন
3 months ago
179


গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

‘সচেতনতা- স্বীকৃতি- মূল্যায়ন : শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গলবার  (২ এপ্রিল) সকালে  রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হলরুমে গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের আয়োজনে এবং পিকেএসএফ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর সহযোগিতায় ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র শাখা ব্যবস্থাপক মো: মেহেদী হাসান এর সভাপতিত্বে সভায়  প্রধান অতিথি  ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো: আসিফ ফেরদৌস। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো: মোসাদ্দেকুর রহমান, গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমওডিসি ডা: মো: শামীম সিদ্দিক।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রাম বিকাশ কেন্দ্রের টেকনিক্যাল অফিসার (কমিউনিটি মোবিলাইজেশন) মো: জিয়াউর রহমান,

পিপিইপিপি-ইইউ প্রকল্প, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (পুষ্টি) হিরু কুমার রায়, মো: আসাদুল ইসলাম, মোছা: রাহেনা খাতুন, মোছা: রেশমা খাতুন ও সহকারি কারীগরি কর্মকর্তা (জীবিকায়ন) মো: কাউছার আহমেদ, মো: আসাদুজ্জামান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ফোরামের সদস্য, মা ও শিশু ফোরামের সদস্য , পিভিসি’র সদস্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে কাউনিয়া উপজেলার ৩নং কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন  ৩নং কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান

মো: আব্দুল মজিদ। বক্তব্য রাখেন  ইউপি সচিব মো: মুরর্তুজা রহমান, ইউপি সদস্য, প্রোগ্রাম অফিসার (জীবিকায়ন) মো: শাহিনুর ইসলাম, টেকনিক্যাল অফিসার (পুষ্টি) মোছা: সুরাইয়া আক্তার রাখি, শাখা ব্যবস্থাপক মো: ফারুক হোসেন, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (জীবিকায়ন) মো: আব্দুল কাইয়ুম ও মো: জহুরুল ইসলাম,সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা (পুষ্টি) ইসরাত জাহান ও বেনজির লায়লা প্রমুখ।

এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো মানুষ যাতে অটিজম আছে এমন মানুষদের স্বীকার করে নেয়, নিজের করে নেয়, তাদের কে সমাজের মধ্যে ভালোভাবে অন্তর্ভুক্ত করে। এমন পরিবেশ তৈরী করা যাতে এই মানুষগুলো আমাদের থেকে ভিন্ন ধরনের মস্তিস্ক ও জিনেটিক গঠন থাকা সত্বেও আমাদের সাথে এক সাথে থাকতে পারে, সমাজে তাদের অবদান রাখতে পারে।

আলোচকগন অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের লক্ষণসমূহ এবং অটিজম শিশুদের প্রতি আমাদের করনীয় বিষয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন

অটিজমের সুনির্দিষ্ট কোন কারণ নেই। তবে জেনেটিক, ননজেনেটিক ও পরিবেশগত প্রভাব সমন্বিতভাবে অটিজমের জন্য দায়ী। শিশুর প্রাথমিক পর্যায়ে এটি সৃষ্টি হয়। এ পর্যন্ত পরিচর্যাই এর একমাত্র বিকল্প। এক সময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন।

বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক শিশু অটিজম নামের এই নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডারে আক্রান্ত। ইতোমধ্যে এ সম্পর্কে পিতা-মাতা, পরিবার-পরিজন ও সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তাদের চিকিৎসা ও যথার্থ পরিচর্যার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করে। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানবাধিকার রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই আইনের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। তাই বাংলাদেশে অটিজম ও সব ধরণের প্রতিবন্ধী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অটিজম আছে এমন শিশুরা আমাদের সন্তান। আসুন আমরা সচেতন হই,তাদের স্বীকৃতি দিই এবং মূল্যায়ন করি তবেই তাদের বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারে ও সমাজে উৎপাদনশীল অংশ হয়ে উঠতে পারে, দেশ ও জাতির জন্য কাজ করতে পারে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়