১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ - ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ - 26 April, 2024
amader protidin

গোসল করানোর সময় ‘নড়ে উঠলো’ লাশ

আমাদের প্রতিদিন
1 year ago
326


হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে সোহাগ হোসেন (৩৫) নামের এক যুবক স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এরপর তার দাফনকার্য সম্পন্নের জন্য খোঁড়া হয় কবর। তবে গোসল করানোর সময় লাশ নড়ে উঠেছে এবং শ্বাস নিয়েছে এমন দাবিতে দ্রæত তাকে হাসপাতালে নেন স্বজনরা। দুই হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আজ রোববার সকালে হিলির দক্ষিণ বাসুদেবপুরের চুড়িপট্টি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। সোহাগ হোসেন ওই গ্রামের হারেজ আলীর ছেলে। পরে জয়পুরহাট জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাটোরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সোহাগ নামের ওই যুবক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এরপর সেখান থেকে আজ সকালে তার লাশ হিলিতে নিয়ে আসা হয়। দাফন সম্পন্নের জন্য কেন্দ্রীয় কবরস্থানে খোঁড়া হয় কবর। এরপর গোসল করানোর জন্য নেওয়া হলে নড়ে ওঠে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। এ সময় পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে দ্রæত হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। তার চেকআপ করে দ্রæত সেখান থেকে তাকে পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ হোসেন আমাদের প্রতিদিনকে বলেন, সকালে ওই যুবকের লাশ নামিয়ে দিয়ে বাজারে দোকানে আসি। এরপরে দোকানে এসে শুনছি, সে নাকি জীবিত আছে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হলেও বাজারে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে বলাবলি করছিলেন।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামিম সরদার আমাদের প্রতিদিনকে বলেন, আমার ফুফাতো ভাই সোহাগ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল, এ সময় সে জীবিত আছে বলে কেউ কেউ বলতে থাকে। যার কারণে তাকে নিয়ে আমরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে প্রাণ আছে জানিয়ে জয়পুরহাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই মোতাবেক জয়পুরহাট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছি। বিকেলেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নাজমুন নাহার আমাদের প্রতিদিনকে বলেন, আজ সকালের দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এ সময় আমরা তার প্রেশার ও পালস চেক করে পাইনি। ইসিজি করা হলে এ সময় সব লাইন ফ্লাট ছিল শুধুমাত্র একটা লাইনে হালকা রিদম পাওয়া যায়। যার কারণে মৃত বলে ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হয়নি। সেক্ষেত্রে তাকে আমরা জয়পুরহাট জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করি।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়