আখ চাষের তিক্ততা কাটিয়ে গুড় উৎপাদনে ঝুঁকছে পীরগঞ্জের চাষিরা
![](https://www.amader-protidin.com/storage/postpic/1679054314.webp)
আজাদুল ইসলাম আজাদ, পীরগঞ্জ (রংপুর):
গত কয়েক বছর লাভের মুখ দেখেননি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার আখ চাষিরা। মিল কতৃপক্ষের গড়িমসি এবং সময়মতো আখ বিক্রি করতে না পেরে, আখ চাষাবাদ থেকে সরিয়ে পড়ছিল কৃষক । ফলে আখ চাষ নিয়ে চাষিদের মধ্যে তিক্ততা বিরাজ করছিল । বর্তমানে চিনি এবং গুড়ের বাজার বেশি যে কারনে আখ চাষিদের চাষাবাদের আগ্রহ বাড়ছে। অধিকাংশ চাষি এখন গুড় উৎপাদন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শনিবার সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বড় আলমপুর, চতরা,কুমেদপুর, ভেন্ডাবাড়ী কাবিলপুর, টুকুরিয়া, চৈত্রকোল এবং রায়পুর ইউনিয়নের প্রায় কৃষকের জমিতে আখ চাষের আবাদ করা হতো। অধিকাংশ আখ চাষিরা জানান, রংপুর চিনি কলের আওতায় মহিমাগঞ্জ মিল কর্তৃপক্ষের আখ ক্রয় নিয়ে নানান অনিয়মের কারণে চাষিরা আখ চাষ থেকে পিছিয়ে পড়ছিল । এখন গুড়ের বাজার বেশি যে কারনে আখ মাড়াই করে উৎপাদন করছে গুড়। আগামী বছর আখের আবাদ বাড়বে বলে তারা দাবি করছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানাযায় এ উপজেলায় একসময় ১৩ শত হেক্টর জমিতে ইক্ষু চাষ করা হতো। তাতালপুর গ্রামের আখ চাষি দেলোয়ার হোসেন বলেন, (কুষার) বা আখ চাষ নিয়ে গত কয়েকবছর থেকে তিক্ততা বিরাজ করছিলো। সব ফসলের সাথে তাল মিলিয়ে আখ চাষে অনেকটা লোকসান দেখতে হতো। বর্তমানে গুড়ের বাজার বেশি, গুড় মাড়াই কারখানার মালিকরা জমি থেকে নগদ ৩৩০ টাকা মন হিসাবে ক্রয় করছে।
এছাড়াও অনেকেই নিজেদের গুড় মাড়াই ক্রশয়া মেশিন রয়েছে, তারা আখ থেকে গুড় মাড়াই করে মজুদ করছে। তবে সবমিলিয়ে ইক্ষু চাষিরা গুড় উৎপাদন করে খুশি।
খালাশপীর এলাকার কৃষক জাকির হোসেন জানান, লোকসানের দিন শেষ এখন কৃষক যে ফসলে লাভ বেশি সেই ফসলের চাষাবাদে ঝাপিয়ে পড়ে। এবছর আখ চাষ করে তারা লাভবান। আগামী বছরে আখের চাষাবাদ বাড়বে বলে তিনি জানান।