১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

বদরগঞ্জে গরুর বদলে বাছুর, নেয়নি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মানুষ

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
137


আঞ্চলিক প্রতিনিধি:

রংপুরের বদরগঞ্জে সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রর ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় মানুষের আর্থ সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাড়ন্ত গরু বিতরণ কার্যক্রমের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার(৩০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে ওই গরু বিতরণ করতে গেলে প্রতিবাদের মুখে পড়েন প্রাণি সম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তারা। ক্ষু-নৃগোষ্ঠী মানুষের তালিকা করে তাদেরকে বাড়ন্ত গরু দেওয়ার কথা থাকলেও তার বদলে বাছুর দেওয়ার চেষ্টা করলে তা ফেরত দেন তারা। এ ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নারী পুরুষরা। পরে সুবিধাভোগিদের যাতায়াত বাবদ জন প্রতি মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়।

প্রাণি সম্পদ দপ্তর ও অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের অর্থায়নে উপজেলার সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রর ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ৪১জনকে বাড়ন্ত গরু দেওয়ার জন্য আগেই তালিকা করা হয়। সেই হিসেবে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর তালিকাভুক্ত লোকজনকে বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে গরু নিতে আসতে বলা হয়। কিন্তু এসে দেখেন গরু নয়, গরুর বাছুর দেওয়ার জন্য তাদের ডেকে আনা হয়। এ বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়লে তীব্র প্রতিবাদ জানান ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর সুবিধাভোগীরা। পরে তারা এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গরুর বাছুর নিতে অস্বিতি জানান। আবার বাছুরগুলোর অধিকাংশ অসুস্থ ও লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত বলে দাবি করেন ক্ষু-নৃগোষ্ঠীর লোকজন।

উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের আদিবাসী পল্লীর শিমুলঝুড়ি গ্রামের সমো মাড্ডি ও কমল মাড্ডি বলেন, ‘বড় গরু দেওয়ার কথা বলে আমাদের নামের তালিকা করা হয়। আজ(বুধবার) সেই গরু দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসে দেখি সব ছোট ছোট গরুর বাছুর। যেগুলোর বয়স দুই থেকে চার মাস হবে।’

রামনাথপুর ইউনিয়নের বাগবাড় এলাকার লক্ষিন্দ্র ও ডিনেস রাউৎ বলেন, ‘যে গুরু দেওয়ার কথা সেই গরু দেওয়া হচ্ছে না। ছোট বাছুর গরু দিয়ে আমাদের গোজামিল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাছুর গুলোর অধিকাংশ লাম্পি স্ক্রিন আক্রান্ত। ওই অসুস্থ গুরু নিয়ে বিপদে পড়া ছাড়া কোন উপায় নাই।’

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নাজমুল হুদা তপন বলেন, ‘উপজেলার ৪১জন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মানুষকে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের বরাদ্দে ওই গুরু দেওয়ার তালিকা করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের গরুর বাছুরগুলো অন্য উপজেলায় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুল করে বদরগঞ্জে চলে আসে। অসংগতিপূর্ণ মনে হওয়ায় বাছুগুলো বিতরণ করা হয়নি। পরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাড়ন্ত গরুর বদলে বাছুর দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, প্রতিটি বাড়ন্ত গরুর নুন্যতম ওজন হবে ৫০ কেজির ওপরে। পরবর্তিতে গরুগুলো দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়