কিশোরগঞ্জে বাস শ্রমিক মোরশেদুল হত্যার ৯দিনেও কোন ক্লু পায়নি পুলিশ
![](https://www.amader-protidin.com/asset/postpic.png)
নীলফামারী প্রতিনিধি:
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বালু চাপা দেয়া অজ্ঞাত পরিচয় লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাহাগিলী ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি বাসো পাড়া গ্রামের একরামুল হকের একমাত্র ছেলে মোরশেদুল হক। সে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর নদীর তীর থেকে বালু চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । এঘটনায় পুলিশবাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করে। মামলার ৯দিনেও এই নৃশংস হত্যাকান্ডের এখনো কোন ক্লু পায়নি পুলিশ।
জানাগেছে উপজেলার ওই ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি বাসো পাড়া গ্রামের একরামুল হকের একমাত্র ছেলে মোরশেদুল হক পেশায় একজন বাস শ্রমিক ছিল।এজন্য তিনি বাড়ীর বাইরে বেশি ভাগ সময় অবস্থান করতেন। যখন বাড়ীতে আসতেন ।জুয়ার আড্ডায় মেতে থাকতেন। গত ২৪ আগষ্ট মোরশেদুলের মোবাইল ফোনে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। ওই ফোন পেয়ে সে রাত ৯টার দিকে বাড়ী থেকে বের হয়ে যায়। সেই থেকে তিনি আর বাড়ীতে ফেরেনি। মোরশেদুল খোঁজ না পাওয়ায় তার বাবা একরামুল হক ২৬ আগষ্ট থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করে। ২৭ আগষ্ট দুপুরে উত্তর দুরাকুটি কারবালার ডাঙ্গার পূর্ব পাশ্বের ধাইজান নদীর তীর থেকে বালু চাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় লাশের পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশবাদী হয়ে একটি হত্যামামলা দায়ের করে। এঘটনায় দুজন ব্যাক্তিকে থানায় এনে পুলিশ জিজ্ঞাসা বাদ করে।কিন্তু মামলা দায়েরের ৯ দিনেও পুলিশ কোন ক্লু বের করতে না পাড়ায় মোরশেদুলের বাবা –মা সহ আত্মীয় স্বজনরা নিরাশ হয়ে পড়েছে। নিহতের মা মোরশেদা বেগম জানায় পুলিশের তৎপরতা লক্ষনীয় হলেও ঘাতকদের চিহিৃত করার বিষয়ে কোন প্রকার আশার আলো দেখতে পাচ্ছিনা ।ফলে আমার ছেলে হত্যার বিচার নিয়ে শংকিত রয়েছি।
কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজীব কুমার রায়ের কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোরশেদুল খুনের তদন্ত অব্যহত রয়েছে । খুনের মোটিভ উদ্ধারসহ কিছুদিনের মধ্য আসামীদের ধরতে পারবো বলে আশা করছি।