১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

ব্রহ্মপুত্রের পেটে গৃহহীন শাখাহাতির  প্রায় ২ শতাধিক পরিবার

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
151


চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাঙ্গনের শিকার হয়ে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে চিলমারী উপজেলার, চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতিসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। হুমকির মুখে পড়েছেন প্রায় ২শতাধিক পরিবারসহ সরকারি বিদ্যালয়, আশ্রয়কেন্দ্র ইত্যাদি। কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়িঘরসহ নানান জিনিস নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জানাযায়, ব্রহ্মপুত্রের করল থাবায় উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতির চর, কড়াই বরিশালচরসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের তাণ্ডব দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে সব কিছুই গিলে খাচ্ছে ব্রক্ষ্রপুত্র।  ব্রহ্মপুত্রের কড়াল গ্রাসে গিলে খাচ্ছেন ঘরবাড়ি, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমিসহ নানান স্থাপনা। সেই সঙ্গে নিঃস্ব হচ্ছেন মানুষজন। ভাঙ্গনের শিকার হয়ে বাড়িঘরসহ লাখ লাখ টাকার সম্পদ হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়ছেন শতশত পরিবার। ব্রহ্মপুত্রের এই ভাঙ্গনের মুখেই রয়েছে শাখাহাতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাখাহাতি আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ সরকারি নানান স্থাপনা। এ ছাড়াও হুমকির মুখে রয়েছেন, গ্রামের শতশত বাড়িঘরসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি। এর মধ্যেই ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছেন সাব-মেরিন ক্যাবল ও বিদ্যুৎ এর খুঁটি (পোল) সমুহ। সদ্য ভাঙ্গনে শিকার হয়েছেন, মোঃ আমজাদ মিয়া, মোছাঃ জাহানারা বেগম, মোঃ ইছাহক আলীসহ আরও অনেকে, তারা বলেন, নদী আমাদের বাড়িভিটা ও ফসলি জমিসহ আমাদের সাজানো সংসার কেড়ে নিল। তারা আরও বলেন, নদী আমাদের লাখ লাখ টাকার সম্পদ কেড়ে নিচ্ছেন। আর প্রশাসন শুধু মাত্র ১০ কেজি চাল নিয়ে আইসে, হামরা গুলে ত্রাণ চাই নে, হামার গুলেক নদী ভাঙ্গন থাকি বাঁচান। এ ব্যাপারে চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যে হারে নদী ভাঙ্গা শুরু হয়েছে, এর কোন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা না হলে চিলমারী ইউনিয়নের পুরো এলাকাসহ সরকারি স্কুল, আশ্রয়ণ কেন্দ্রসহ সকল কিছু নদীগর্ভে চলে যাবে বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে কথা হলে  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাফিউল আলম বলেন, সরজমিনে এলাকা পরিদর্শন করেছি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে, কিছু জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এ ছাড়াও ভাঙ্গন ঠেকাতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে কাজ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক কিছু জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে, আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু চরাঞ্চল হওয়ায় ভাঙ্গন ঠেকানো বড় কষ্টকর হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়