১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের হাতাহাতি, পরেদিন মিষ্টি মিমাংসা

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
295


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের একটি সদ্য সরকারিকৃত কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হায়দার আলী ও সিনিয়র প্রভাষক জিয়াউল হক নাননু’র সঙ্গে টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হাতাহাতি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

পাশাপাশি ছামসুল আলম নামের আরেক সিনিয়র প্রভাষকওঅধ্যক্ষকের ওপর রাগান্বিত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী সরকারি কলেজে। মঙ্গলবার এইচএসসি পরীক্ষা শেষে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বন্ধের দিনে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। পরে মিষ্টি খাওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কলেজের উন্নয়ন বিষয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলনকৃত টাকা দিয়ে কলেজের উন্নয়নমূলক কাজ করার কথা থাকলেও কিন্তু নামে মাত্র কাজ করা হয়।

এতে বাকি টাকা ভাগাভাগি করার ঘটনায় মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এইচএসসি পরীক্ষা শেষে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হায়দার আলী এবং সিনিয়র প্রভাষক জিয়াউল হক নাননু’র সাথে হাতাহাতি হয়। এতে আরেক সিনিয়র প্রভাষক ছামসুল আলমও রাগান্বিত হন।

পরে অধ্যক্ষতাদের মারমুখীর আচরণের ভয়ে কার্যালয় ছেড়ে চলে যান।আরও জানা যায়, জিয়াউল হক নাননু এবং ছামসুল আলম দুইজনেই অধ্যক্ষ ভারের দায়িত্ব না পাওয়ায় দায়িত্ব পাওয়া অধ্যক্ষ হায়দার আলীকে সবসময় চাপে রাখেন তারা।বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বন্ধের দিনে কলেজের প্রশাসনিক ভবনে বসে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়। পরে মিষ্টি খাওয়া খাওয়ি হয়।

হাতাহাতির বিষয় মুঠোফোনে জানতে চাইলে জিয়াউল হক নাননুবলেন, ‘এ রকম ঘটনা ঘটেনি। তবে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে খাতাপত্র পোস্ট অফিসে নিয়ে যাওয়ার খরচের টাকার বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়েছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের কোন টাকা ভাগাভাগীর বিষয় হাতাহাতি হয়নি। অধ্যক্ষ বললে তা মিথ্যা।’

টাকা ভাগাভাগির ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে প্রভাষক ছামসুল আলম বলেন,‘এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কলেজটি। কলেজের পরীক্ষা কক্ষগুলোতে বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগানোর জন্য ইউএনও ডিসি’র করা নির্দেশ ছিল। তাই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে কিছু টাকা তোলা হয়েছে। কাজও করা হয়েছে। অবশিষ্ট কিছু টাকার ছিল তা কি করবে এ জন্য আমি ও জিয়াউল হক নাননু রাগ করেছিলাম। অধ্যক্ষ বন্ধুও বটে তাই।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন,আমাদের সাথে হাতাহাতি হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।ঘটনার বিষয় বুধবার কলেজে বসে মিমাংসা হয়ে মিষ্টি খাওয়া হয়েছে। হাতাহাতির বিষয় যদি অধ্যক্ষ বলে থাকে তা মিথ্যা। আর এসব বিষয়ে রিপোর্ট করা ঠিক নয়। কারণ প্রতিষ্ঠানের দূরনাম হবে।’

অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. হায়দার আলী মুঠোফোনে জানান, টাকা দিতে দেড়ি হওয়ায় চেয়ার থেকে উঠে আমার ওপর মারমুখী আচরণ এবং বাগবিদতন্ডা’র মতো ঘটা ঘটায়। পরে আমি কার্যালয় থেকে চলে যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বুধবার কলেজে বসে এ বিষয় মিমাংসা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে রৌমারী সরকারি কলেজ সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হাসান খান এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে পাওয়া যায়নি। তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়