১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

গঙ্গাচড়ায় পুকুরের মাছ মেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
10 months ago
179


গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় রাতের আঁধারে পুকুর থেকে মাছ তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখে ফেলায় মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ  ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সরজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের বাগডহরা সর্দারপাড়া এলাকায় সরকারি ২.২০ একর খাস জামির ওপর একটি পুকুর রয়েছে।

স্থানীয় মফিজুল ইসলাম (৫৮) জানান, তিনি ওই পুকুরটি নোহালী ইউনিয়ন পরিষদের কাছে থেকে লিজ নিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে পুকুর পাড়ের বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে  মাছ চাষ করে আসছেন।

গত ৮ মাস আগে পাশের এলাকার মোনায়েম (৩৯), রশিদুল ইসলাম (৩৫) , শফিকুল (৪৫),আবু তালেব (৪২), আব্দুর রউফ (২৮) ,মানিক মিয়া (৫৫) ও  শহিদুলসহ (৩৫) প্রায় ২৮ থেকে ৩০ জন এসে পুকুর নিজেদের দাবি করে মাছ শিকার করেন। এসময় স্থানীয়রা বাঁধা দিলে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন। এ বিষয়ে মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় একটি মামলা করেন। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টিগোচর হলে সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা তার বাসায় বসে বিষয়টি মোনায়েম ও মফিজুলের  মাঝে মীমাংসা করে দেন।

এদিকে, মীমাংসা না মেনে গত সোমবার রাতে মফিজুলের লোকজনকে ফাঁসাতে প্রতিপক্ষের  মোনায়েমের লোকজন আনোয়ার, আলমগীর, মনছুর, আনোয়ারা, মরিছা রাতের বেলা পুকুরে ফাঁসি জাল বসিয়ে মাছ শিকার করেন। এসময় পুকুরের পাশের বাড়ির  আফরোজা বেগম (৩৩), নিয়ামত (৩০)  ও ফজিলা খাতুন নামে তিন ব্যক্তি দেখতে পান যে, তারা জাল দিয়ে পুকুরে মাছ শিকার করছেন। এসময় নিজেদের নির্দোষ প্রামাণ করতে তারা চোর চোর বলে চিৎকার করেন। এরপর আনোয়ার, মরিচা ও মনছুর এসে তাদেরকে হুমকি দেন যেন তারা তাদের নাম কাউকে না বলে।

এ বিষয়ে আফরোজা বেগম বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমাদের জায়গা জমি নাই, আমরা সরকারি খাস জমির ওপর বাড়ি করি থাকি। মোনায়েম পক্ষের   আনোয়ার, আলমগীর, মনছুর, আনোয়ারা নিজেরাই রাতের আঁধারে জাল দিয়া মাছ মারি নিয়া গেছে। সেই মাছ মারা আমরা দেখছি জন্যেই তারা আমাদের মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। আবার বলে যাচ্ছে আমাদের বাড়ি ভেঙে দিবে।

এ বিষয়ে জানতে মোনায়েম হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন,  অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়