১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

বিরলের কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

আমাদের প্রতিদিন
3 months ago
111


সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগসহ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নাম পরিবর্তন 

বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগসহ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নাম পরিবর্তনের অভিযোগ উঠেছে।

এ সংক্রান্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা রাবেয়া খাতুন  বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হাসানকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

কমিটির অপর দু’জন সদস্য হলেন-উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি শিক্ষা অফিসার আরিফ ইকবাল ও বালান্দোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান।

তদন্ত কমিটিকে যথাশীঘ্র তদন্ত কার্য সম্পন্ন করে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।

বিরল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া খাতুন স্বাক্ষরিত যাহার স্মারক নং— উমাশিঅ/বিরল/২০২৪/৭৪ এক পত্রে জানা গেছে, বিরল উপজেলার ৮ নং ধর্মপুর ইউনিয়নের কামদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদিত সভাপতির নাম পরিবর্তন করে বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের নতুন এমপিও/উচ্চতর স্কেলের ফাইল ফেব্রুয়ারী/২০২৪  মাসে অনলাইনে প্রেরন করেছেন। সে সব ফাইলে একাধিক ব্যাক্তির সভাপতি হিসেবে অনলাইনে প্রেরিত ফাইল সমুহের কোনটিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কতৃর্ক অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির স্মারক নং— ৫/এস/২৫৪/১০৯২(০৭), তারিখ—৩০/০৪/২০২৩  ইং যেখানে ৮ সদস্য বিশিষ্ট ম্যানেজিং কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার মেয়াদকাল উল্লেখ করেছেন ২৫/০৪/২০২২ থেকে দুই বছর। উক্ত পত্রে যেখানে সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে আব্দুল কাদের আবার কোন কোন এমপিও/উচ্চতর স্কেলের ফাইলে ২৫/০৪/২০২২ ইং তারিখের পর ওমর ফারুক সভাপতি হিসেবে রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেছেন এবং সে সব ফাইলে স্মারক নং— ৫/এস/২৫৪/১০৯২(০৬),  ২১/০৬/২০২২ ইং তারিখের অনুমোদিত কমিটির সভাপতি হিসেবে নাম রয়েছে ওমর ফারুক এর। শুধু বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক—কর্মচারীদের বেতন—ভাতা অনুমোদিত সভাপতি থাকার পরও অন্যের স্বাক্ষর ব্যবহার করে উত্তোলন করা ছাড়াও  কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর  ১ জন  এবং সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে  ১ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া খাতুন এর স্বাক্ষর জাল করে ওই দুই পদে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ফারুক হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন এর মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নাম পরিবর্তন করে শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের বেতনভাতাদি উত্তোলনের চেষ্টাসহ স্বাক্ষর জাল করার অপরাধে বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হাসানকে আহবায়ক ৩ সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির অপর দু’জন সদস্য হলেন— সহকারি মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার আরিফ ইকবাল ও বালান্দোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান।

তদন্ত কমিটির আহবায়ক বিরল সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল হাসান জানান, তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়