লালমনিরহাটে মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে পেটালো পুলিশের সোর্স
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় স্বামীর মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সুমন নামে পুলিশের সোর্স দাবীদার এক যুবকের বিরুদ্ধে। মারধরের পর মোর্শেদা খাতুন নামে ওই গৃহবুধ অজ্ঞান হয়ে বাড়িতে পড়ে থাকলে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ওই উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সুমন ওই এলাকার আশু মিয়া সদার্রের পুত্র বলে জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধু মোর্শেদা খাতুন জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করেন। তারা নামে মাদকের মামলাও রয়েছে। এসব ব্যবসা করতে নিষেধ করলে তাকে মারধর করেন। মাদক ব্যবসায় ধরা খেয়ে এখন যৌতুকের জন্যও প্রায় সময় তাকে মারধর করেন তার স্বামী। ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় তাকে প্রচন্ড মারধর করেন। পরে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু শুক্রবার বিকালে বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন।
তবে মাদক ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করে সুমন বলেন, তাকে শুধুমাত্র কয়েকটা চড় থাপ্পর দিয়েছি। আমি মাদক ব্যবসা নয়, আর আমি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করি। হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র রায় জানান, সুমন নামে পুলিশের কোন সোর্স নেই। অভিযোগের আলোকে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।