১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

চিলমারীতে ৯বছর চাকুরী করার পর শিক্ষকের বেতন বন্ধ

আমাদের প্রতিদিন
3 months ago
66


জাল সনদে চাকুরি

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জাল সনদে চাকুরীর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ৯ বছর পর এক শিক্ষকের বেতন ভাতা বন্ধ করেছে মাউশি।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি) কতৃর্ক উপজেলার থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তথ্য ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা.আঞ্জুমান আরার এমপিও শিটে বেতন ভাতা বন্ধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত মার্চ মাসের এমপিও শিটে ওই শিক্ষকের নাম থাকলেও প্রাপ্য বেতন ভাতার ঘর ফাঁকা ছিল বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো.তৈয়ব আলী।

জানা গেছে,উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৫সালে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স সনদ দিয়ে তথ্য ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী নেন মোছা.আঞ্জুমান আরা। এর পর এমপিও ভূক্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে স্বপদে কর্তব্যরত থাকেন তিনি,যাহার ইনডেক্স নং—ঘ—১১২৮৩৬৭। দীর্ঘ ৯বছর যাবৎ বেতন ভাতাও উত্তোলন করে আসছেন তিনি।

সম্প্রতি স্থানীয় ফারদিন হাসান ফাহিম নামে এক যুবকের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্তে জানা যায়, মোছা. আঞ্জুমান আরা চাকুরী নিতে ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স এর যে সনদটি উপস্থাপন করেছিলেন সেটি প্রকৃত পক্ষে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আহাম্মদ আলীর মেয়ে মোছা.আঞ্জুমান আরার। যাহার রোল নং—২০১২০১২, রেজিঃ নং—১২০০০১৬,সেশন—২০১২,পাশের সন ২০১২। শুধুমাত্র নামের মিল থাকায় প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে ওই সনদপত্র ব্যবহার করে চাকুরী নেন উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের সামছপাড়া এলাকার মো.নজির হোসেনের মেয়ে মোছা.আঞ্জুমান আরা। একই ইউনিয়নের সামছপাড়া এলাকার ফারদিন হাসান ফাহিম এর অভিযোগের ভিত্তিতে মাউশি কতৃর্ক তদন্তে সনদপত্র জালিয়াতির বিষয়টি প্রমানিত হয়।

জাল সনদে এমপিও ভূক্ত হওয়ায় জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা—২০২১ এর ১৮.১(ঙ)ধারা অনুযায়ী তার বেতন ভাতাদী বন্ধের সুপারিশ করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর(মাউশি)’র তদন্ত টিম। সুপারিশের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত গত ১৩মার্চ তারিখের এক পত্রে মোছা.আঞ্জুমান আরার বেতন—ভাতা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে পত্রটি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে প্রেরন করা হয়।

থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.তৈয়ব আলী জানান,তথ্য ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা.আঞ্জুমান আরা ২০১৫সালে চাকুরী নিয়েছিলেন আর আমি অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেছি ২০১৮ সালের শেষের দিকে। আঞ্জুমান আরার ডিপ্লোমা ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স সনদের বিষয়ে স্থানীয় এক যুবকের করা অভিযোগ সত্য প্রমানিত হওয়ায় তার বেতন বন্ধের নির্দেশনা আসে।গত মার্চ মাসের এমপিও শীটে ওই শিক্ষকের নাম থাকলেও প্রাপ্য বেতন ভাতার ঘর ফাঁকা ছিল।  

সর্বশেষ

জনপ্রিয়