তীব্র তাপপ্রবাহের বিরূপ প্রভাব কৃষিতে
নীলফামারী প্রতিনিধি:
দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ চলায় কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্রখর রোদে শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল। নষ্ট হচ্ছে ফলন। সেচ দিয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। এদিকে পোকার আক্রমণে ব্যবহার করতে হচ্ছে অতিরিক্ত কীটনাশক। যাতে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়।
মৌসুমের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেশের তাপমাত্রা। তাপপ্রবাহের ধারাবাহিকতায় গনগনে সূর্যে জীবন ওষ্ঠাগত, পুড়ছে প্রকৃতিও। আবহাওয়ার এমন বিরূপ প্রভাব সরাসরি পড়ছে ফসলের খেতে। শুকিয়ে যাচ্ছে ফসল, সবজির খেত।
নীলফামারীতে এবছর ৮৩ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৩৩ টন ধান। যে ধান ঘরে তুলতে লাগবে আরও ২৫ দিন সময়। তবে চলমান দাবদাহে মাঠের সেসব ধান চিটা হওয়ার শঙ্কায় উত্তরাঞ্চলে চাষিরা। স্বাভাবিক সময় দুইদিন পরপর সেচ দিতে হলেও এখন প্রতিদিন ৫ থেকে ৯ ঘণ্টা দিতে হচ্ছে সেচ। যাতে অন্যান্য সময় বিঘায় ১৮শ' থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হলেও বর্তমানে সেই খরচ দাঁড়িয়েছে ৩৫শ থেকে ৪ হাজার টাকায়।
চাষিদের একজন বলেন, 'তীব্রতাপে এখন এক বিঘা জমিতে চার হাজার টাকার মত পানি দেওয়ার খরচ হচ্ছে।'
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ—পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, 'উপর থেকে শুরু করে মাটি পর্যন্ত ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি সেচ দিয়ে সব সময় পানি ধরে রাখতে পারি তাহলে কিন্তু এই অংশের তাপমাত্রা কমে যাবে।'