বীরগঞ্জে তীব্র তাপদাহে চরম দূর্ভোগে প্রাণীকূল
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বৈরী আবহাওয়ায় কঠিন সময় পার করছে দেশের মানুষ। টানা তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। তীব্র তাপদাহের পাশাপাশি বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ যেন পরিণত হয়েছে তপ্ত মরুভূমিতে। দেশে চলমান এই তাপদাহে মানুষের পাশাপাশি ভালো নেই প্রাণীকূল।
তীব্র তাপদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে রাস্তায় অথবা ফুটপাতে জমে থাকা নোংরা পানির মধ্যে সময় কাটাতে দেখা গেছে ভাসমান প্রাণীকূল। বিশেষ করে গবাদি পশুরা পুকুর কিংবা ডোবায় নেমে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে শরীর ভাসিয়ে দিতে দেখা গেছে । এছাড়াও গৃহপালিত পশু—পাখি, হাস, মুরগির, পাখিরা রয়েছে চরম অস্বস্তিতে। তাপদাহ বাড়তে থাকায় তাদের মাঝে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা নানা ধরণের রোগ বালাই। এসব কারণে অধিকাংশ প্রাণীকূলের মাঝে আচরণগত পরিবর্তনও লক্ষ্য করা গেছে।
বীরগঞ্জ উপজেলার পরিবেশবাদী তরুন কর্মী সোহেল আহমেদ জানান, তীব্র তাপদাহে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় গবাদি পশু ও পাখিদের নাজুক। সবচেয়ে বেশি দূর্ভোগে ফুটপাতে থাকা বেওয়ারিশ কুকুরসহ অন্যান্য প্রাণিকুল। প্রকৃতির এই বৈরীতায় তাদের পাশে কেউ নেই। এ ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি সমাজের মানবিক মানুষগুলিতে এগিয়ে আসা দরকার।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ ওসমান গণি বলেন, তীব্র তাপদাহে করনীয় বিষয়ে লিফলেট তৈরী কেও উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও খামারীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে চলমান তাপদাহে গবাদিপশুর যত্নে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরে চলমান প্রশিক্ষণে এ ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। যেখানে পশুপাখিদের বিচরণ রয়েছে এমন এলাকায় ছায়া যুক্ত জায়গায় পানি রাখার জন্য জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে। যদি সম্ভব হয় সেই পানিতে লেবুর রস দেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে আগামী কোরবানীকে কেন্দ্র করে গরু এবং ছাগল খামারীদের খামারে ফ্যানের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভাবে বাতাস প্রবেশ করে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। কোথাও কোন ধরণের সমস্য সৃষ্টি হলে দ্রুত উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।