রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি ও জীবনাশের অভিযোগে মানববন্ধন
![](https://www.amader-protidin.com/storage/postpic/1714822274.webp)
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
নির্বাচনি এক সভায় প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের সমর্থক একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীকে গাছে বেঁধে বিচার করার হুমকি ও জীবননাশের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মানববন্ধন করেছেন সকল বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি মাববন্ধনের মাধ্যমে তাঁকে (মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী) জানিয়ে দিতে চাচ্ছি যে আমার কোন মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ অন্যায় ভাবে হুমকি দিলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনের আশ্রয় নিবো। আমরা নির্বাচন আচরণবিধি ওপর বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. আব্দুল কাদের, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহার আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজার রহমানসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত নির্বাচনি সভায় তিনি প্রতিপক্ষের সমর্থক মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলীকে উদ্দেশ করে এ হুমকি দেন। তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ—সদস্য পদে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করেন। ভোটের দিন অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি রৌমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বনি্দ্বতা করছেন। এই উপজেলায় মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন।
প্রথম ধাপের এ নির্বাচন হবে আগামী ৮ মে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব আলী যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্দা নামাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী রৌমারী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শালুর নির্বাচনি প্রতীক কাপ—পিরিচের পক্ষে কাজ করছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচনি সভায় এভাবে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে জানতে মজিবুর রহমান বঙ্গবাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনি সভায় এভাবে বক্তব্য দেওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।’