গাইবান্ধায় হাত পায়ের রগ কেটে স্ত্রীকে হত্যা
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গাইবান্ধায় যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে ব্লেড দিয়ে হাতসহ নানা জায়গায় কেটে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামীসহ বাড়ির লোকজন।
ঘটনাটি মঙ্গলবার ভোরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায়। সাজু মিয়ার মেয়ে শাহীনা আকতার রংপুর মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বছর তাকে বিয়ে করেন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর মেম্বর।
জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত হিসাবে সবার কাছে পরিচিত। প্রতিদিনই মাদকের টাকা লাগত। টাকা না থাকলেই স্ত্রী শাহীনাকে মারধর করতেন। বাধ্য হয়ে শাহীনা তার বাবার বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যেই টাকা এনে স্বামীকে দিতেন। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না জাহাঙ্গীর। সোমবার সন্ধ্যায় তিনি টাকার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন এবং মারধর করেন। নেশায় করে রাত ১১টার দিকে বাড়ি এসে স্ত্রীকে ব্রেড দিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেন। তারপর তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্লেড দিয়ে কেটে ও হাত পেরেক লাগিয়ে ফুটো করে দেন। এ অবস্থা শাহীনা তার বাবাকে জানান। মঙ্গলবার সকালে তার বাবা-মা ও স্বজনরা মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান দরজার চৌকাঠের সঙ্গে শাহীনার রক্তাক্ত লাশ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্বামী জাহাঙ্গীর মেম্বরসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শাহীনার ভাই জাফর মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, শাহীনার শরীরের বিভিন্ন স্থান ব্লেড দিয়ে কাটা ছেঁড়া। হাত-পায়ে পেরেক দিয়ে আঘাত করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।