১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার অধিকার আদায়ে বীরগঞ্জে ঘন্টাধ্বনী বাজিয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন শিক্ষার্থীরা

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
57


বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:

একযোগে এক মিনিট ধরে ঘন্টা বাজিয়ে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার আদায়ে নীতি নির্ধারক ও দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলো দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ।

“আমরা ঘন্টা বাজাই" নামক বিশ্বব্যাপী ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ও অ—প্রতিবন্ধী শিশুরা সোমবার সকাল ১০টায় উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের আমিনা করিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে ঘন্টা, ঢোল, বাদ্যযন্ত্র এমনকি থালা বাসনে এক মিনিট আওয়াজ তুলে প্রতীকী এ কর্মসূচী পালন করেছে।

কর্মসূচীতে আমিনা করিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, গোলাপগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক, মহাদেবপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এসব স্কুল প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আক্ষরিক ও চরিত্রগতভাবে আরও বেশি প্রবেশগম্য হওয়া প্রয়োজন। শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ যেন প্রতিবন্ধী শিশুদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এবং শিক্ষা যে প্রতিবন্ধী শিশুরও মৌলিক অধিকার সেটা যেন সকলে অনুধান করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমিনা করিম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ কুমার সরকার, ডাবরা ডিনেশ্বরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির, দীপশিখা বীরগঞ্জ এরিয়া ম্যানেজার ও ফোকাল পারসন  মোঃ রজব আলী মন্ডল, বাঞ্চ ম্যানেজার মোঃ শাহাব উদ্দিন, থেরাপিস্ট মোঃ শামসুল ইসলাম, কমিউনিটি অর্গানাইজার পারুল রানীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষিক, অভিবাবক ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও বাস্তবায়নে ছিলেন দীপা শিখা।

ক্যাম্পেইনটি নেদারল্যান্ড ভিত্তিক লিলিয়ান ফাউন্ডেশনের একটি উদ্যোগ যা বাংলাদেশে এর কৌশলগত অংশীদার সিডিডি সারাদেশে পালন করছে। বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষায় সহায়তা প্রদান ও সকলকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য লিলিয়ান ফাউন্ডেশন সিডিডি—কে সহায়তা করছে এবং সিডিডি এর স্থানীয় অংশীদার দীপশিখার  মাধ্যমে বীরগঞ্জের মরিচা ইউনিয়রে তা বাস্তবায়ন করছে।

উদ্দেশ্য একটাই প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয়ে গমনের বিষয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন করা এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার হওয়া । এই কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা প্রতিবন্ধী শিশুদের বিদ্যালয় গমনে প্রতিবন্ধকতা দূর করার মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধী শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নীতি—নির্ধারক ও সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো।

২০০০ সালে জাতিসংঘের ২০০ টি দেশ আটটি বিষয়ে সহ¤্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সম্মত হয়। এর মধ্যে একটি লক্ষ্য হল ২০১৫ সালের মধ্যে শতভাগ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবে, যা এখনো অর্জিত হয়নি। সারা বিশ্বে অনেকশিশু (৮৯% পর্যন্ত) বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রতিবন্ধী শিশুদের ক্ষেত্রে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশ সমূহে মাত্র ১০% প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলে যায়। এমনকি নেদারল্যান্ডেও তাদের অংশগ্রহণ অনেক কম। “আমরা ঘন্টা বাজাই" যদিও একটি বাৎসরিক অনুষ্ঠান, কিন্তু ২০১৯ সালে এর গুরুত্ব¡ সর্বাপেক্ষা বেশি। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কঠোরভাবে কাজ করছে। ২০১৬ থেকে পরবর্তী সময়ের জন্য জাতিসংঘ নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে তা অর্জনে কাজ করছে। এই নতুন লক্ষ্যের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হবে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্টাল গোলস এ সুবিধা পায়নি সেইসকল ব্যক্তিবর্গ। এরা হল বিশেষভাবে প্রতিবন্ধী শিশু ও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি। ২০০০ সাল থেকে তারা খুব কমই উন্নয়ন করতে পেরেছে। এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার এটাই মূখ্য সময় এবং এই পরিবর্তনের ডাক বিশ্বব্যপি যত উচ্চ ঝংকার তুলবে বিশ্ববাসী সেই ডাক তত ভাল শুনতে পাবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়