রংপুরে বিএনপির বহিস্কৃত নেতাসহ নির্বাচন দুইজনের নতুন মুখ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
নিজস্ব প্রতিবেদক:
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে সারাদেশের মতো রংপুর জেলার সদর উপজেলা ও গংগাচড়া এই দুটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফলে দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে নতুন মুখ নির্বাচিত হয়েছেন। সদর উপজেলা নতুন মুখ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন এবং গংগাচড়া উপজেলায় নতুন মুখ বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও চারবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ দুটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলে। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার রবিউল আলম বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
রংপুর সদর উপজেলার ৬১টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন আনারস প্রতীকে ২৮ হাজার ২৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির হোসেন কাপপিরিচ প্রতীকে ১৩ হাজার ৬৩৭ ভোট পেয়েছেন। সেই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কৃষ্ণরঞ্জন বর্মন বৈদ্যুতিক বাল্ব প্রতীকে ১৭ হাজার ১৭৭ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ফজলার রহমান মাইক প্রতীকে ১৩ হাজার ৭০৮ ভোট পেয়েছেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফরিদা পারভীন ফুটবল প্রতীকে ২৯ হাজার ৪৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন আরজিনা বেগম প্রজাপতি প্রতীকে ২৮৫১২ ভোট।
এবারে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদে মাঠে নির্বাচন করেন ১৯ প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ উপজেলায় মোট ৬১টি কেন্দ্রে ৩৬৩টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে রংপুর গংগাচড়া উপজেলার ১০১টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের চারবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন ২৯ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন কাপ—পিরিচ প্রতীক নিয়ে ২৮ হাজার ২০৮ ভোট পেয়েছেন।
এদিকে, গংগাচড়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট ব্যবধান কম থাকায় দুইবার ভোট গণনা করায় ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হয় এবং সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হয়।
গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাচনে তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ১৯ প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন। এ উপজেলায় ১০১ টি কেন্দ্রে ৬৯৩ টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।