১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ - ২৭ জুলাই, ২০২৪ - 27 July, 2024
amader protidin

রাজীবপুরে আলোচিত গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের  ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দুজন গ্রেফতার

আমাদের প্রতিদিন
1 month ago
97


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:  

কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুর উপজেলায় আলোচিত সেই নিহত গৃহবধূকে দীর্ঘ দিন থেকে ধর্ষণের ঘটনায় কসাই জয়নাল ইসলাম ও কসাই আলম মিয়া নামের প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে রাজীবপুর থানা পুলিশ।

আজ শনিবার (১ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান।

এর আগে শুক্রবার (৩১ মে) রাতভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুজন উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলপাড়া গ্রামের আবু সামারের ছেলে জয়নাল মিয়া এবং টাঙ্গালিয়া পাড়া এলাকার মো: শহীদ আলীর ছেলে আলম ওরফে আলম।

স্থানীয় একটি সুত্র জানায়, অভিযুক্তরা ও ধর্ষণের শিকার নিহত গৃহবধূর স্বামী একসাথে মিলে কসাইয়ের কাজে জড়িত বলে জানা গেছে।

সাম্প্রতিক আলোচিত রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নে আশা খাতুন নামের এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে লোকলজ্জার ভয়ে বিষপানে আত্মাহত্যার চেষ্টা করে স্বামী স্ত্রী। পরে আশা খাতুনের মৃত্যু হলে বেঁচে জান স্বামী।  পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠায়। এনিয়ে গত বুধবার (২৯ মে) থানায় নিহতের মামার তথ্যের ভিত্তিতে একটি ইউডি মামলা হয়।  পরে গতকাল শুক্রবার (৩১ মে) রাতে পুলিশের অনুরোধে মৃত আশা খাতুন এর মামা বাদী হয়ে রাজীবপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরই পরিপেক্ষিতে  বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এবিষয়ে রাজীবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে মৃত আশা খাতুনের মামা আকবর হোসেন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখ করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দেওয়ানগঞ্জ এলাকায় থেকে পৃথকভাবে জয়নাল ও আলমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।

কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম জানান, রাজিবপুর থানায় ধর্ষণের মামলা হওয়ার ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত দুজনকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় যেই জড়িত থাক না কেন আমরা তাদের আইনের আওতায় আনবো। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়