পীরগঞ্জের চতরাহাটে ভেজাল গো-খাদ্য তৈরীর কারখানা পরিদর্শন ও নমুণা সংগ্রহ করলেন রংপুর বিভাগীয় বিএসটিআই প্রতিনিধিদল
৩ সাংবাদিক হামলার শিকারের ঘটনাস্থল
পীরগঞ্জ রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা হাটে অবৈধভাবে ভেজাল গো-খাদ্য তৈরী করে বসুন্ধরা ব্রান্ডে বাজারজাতকৃত গমের ভূষি উৎপাদনের অভিযোগ পেয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানে সার্ভিল্যান্স অভিযান ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে আলামত জব্দে বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নমুণা সংগ্রহ করেন। গত বুধবার বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুরের উদ্যোগে রংপুর জেলার চতরা হাট এলাকায় একটি সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য. গত সোমবার দুুপুরে ভেজাল গো-খাদ্য তৈরীর গোডাউনে চালের গুড়া. ধানের গুড়া, কাঠের গুড়া, সুজি, ময়দা মিশ্রণে বসুন্ধরা কোম্পানীর ১ নং গমের ভুষির তৈরীর ফুটেজ ও তত্ত¡ সংগ্রহ করতে গিয়ে পীরগঞ্জের মাইটিভির রংপুর প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান, এশিয়ান টিভির উপজেলা প্রতিনিধি মিনহাজুল ইসলাম মিলন ও বায়ান্নর আলোর সংবাদদাতা মিফতাহুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে ক্যামেরা, মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে বেধড়ক মারপিট করা হয়।
অভিযানের পর প্রতিনিধি দলের প্রধান সদস্য সহকারী পরিচালক (সিএম) প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান প্রেস রিলিজে জানান, বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, রংপুর মহোদয়ের আদেশের প্রেক্ষিতে অতিরিক্তি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রংপুর মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক এই সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানে প্রাপ্ত অভিযোগ জনাব মোঃ জিয়াউর রহমান মন্ডল, প্রভাষক, চতরা মহিলা ডিগ্রী কলেজ, চতরা, পীরগঞ্জ, রংপুর আলহাজ¦ কুদ্দুস ভিলার নীচতলায় ১টি গোডাউনসহ আশেপাশের আরও ২টি গোডাউনে দিনে রাতে চাউলের কুড়া, ধানের গুড়া, ময়দা মিশিয়ে বসুন্ধরা কোম্পানী নামক বস্তায় প্যাকেটজাত করে তার পিতার প্রতিষ্ঠান মেসার্স তুনা-তিশা ট্রেডার্স, চতরাহাট, পীরগঞ্জ, রংপুর এর মাধ্যমে বাজারজাত করেছে। অভিযানে উৎপাদনস্থল, সংরক্ষণস্থল এবং বিক্রয়স্থল তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় এবং গত ০৩-০৪ দিন যাবৎ বন্ধ আছে মর্মে আশেপাশের লোকজন এর থেকে জানা যায়। প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কোন লোকই কথা বলতে রাজী হয় নাই তবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে দোকানদাররা জানান গত ০১ বছর ধরে জিয়া নকল গমের ভ‚ষি উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছে। তাদের প্রদানকৃত তথ্যের ভিত্তিতে জনাব জিয়ার উৎপাদিত ভ‚ষি যে সকল দোকানের মাধ্যমে বিক্রয় হয়ে থাকে সে সকল প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা সংগ্রহ করে সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা করলে তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায় এবং তার ডিলারদের নিকট হতে পরীক্ষণের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং নিয়মিত মামলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উৎপাদনস্থল তালাবদ্ধ হলেও কাঁচিগেটের ফাকা দিয়ে আনুমানিক ১০০ বস্তা গমের ভূষি সংরক্ষিত অবস্থায় দেখা যায়। জনস্বার্থে বিএসটিআই বিভাগীয় কার্যালয়, রংপুর এর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
অভিযান পরিচালনার সময় প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুর রহমান, সহকারী পরিচালক (সিএম), প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবিব, পরিদর্শক, (মেট্রোলজি), প্রকৌশলী মোঃ তাওহীদ আল আমিন, ফিল্ড অফিসার (সিএম) এবং জনাব খন্দকার মোঃ জামিনুর রহমান, ফিল্ড অফিসার (সিএম) উপস্থিত ছিলেন।