বিরলে হাঁস পালনে লাখ টাকা আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন মশিউর রহমান

আতিউর রহমান, বিরল (দিনাজপুর):
বিরলে হাঁস পালন করে লাখ টাকা আয়ের পথ খুঁজে পেয়েছেন মশিউর রহমান। খাঁকি ক্যাম্বল জাতের হাঁস এবারে তাঁকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ইভিরামপুর গ্রামের মশিউর রহমান জানালেন হাঁস পালন করতে ব্যত্যয় ঘটলে পুঁজিসহ হারিয়ে যায়। এর আগে ২ বার ব্যার্থ হয়েছেন। তবে এবার প্রায় ৬০ দিন অতিবাহিত হওয়ায় আয়ের স্বপ্ন বুনছেন। ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর সাথে সাথে এবারে তিনি ১২০০ টি বাচ্চা হাঁস সংগ্রহ করেন। এতে ব্যায় হয় প্রায় ৫৩ হাজার টাকা। ১৫ দিন যাবৎ প্রায় ১৪ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগ ৫০ কেজি) প্রসেসিং খাবার (ফিড) ৪৯ হাজার টাকা ব্যায়ে খাওয়ানো হয় বাচ্চা হাঁসগুলোকে। ওষুধের জন্য আরো প্রায় ৫ হাজার টাকা ব্যায় হয়। এরপর ধান ক্ষেতগুলো ফাঁকা পরে থাকায় সেই ধানক্ষেতে হাঁসের বাচ্চাগুলো নিয়ে যাওয়ার পর দেখেন প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি বেশ আগ্রহ তাদের। এরপর আর প্রসেসিং খাবার (ফিড) না দিয়ে ধান ক্ষেতে পরে থাকা ধানের উচ্ছিষ্টসহ আশপাশের নালায় বিচরণ করে প্রায় ৪৫ দিন যাবৎ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। একদিকে প্রসেসিং খাবার (ফিড) বাবদ ব্যায় কমেছে আবার প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায় হাঁসগুলো দ্রুত বেড়ে উঠছে। আর এক মাস পরেই এই হাঁসগুলো বাজারজাত করবেন। যা গড়ে ৪শত থেকে ৫শত টাকায় বিক্রি হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ক্ষেতে ধান রোপনের পূর্বেই আগামী এক মাসের মধ্যে তিনি হাঁসগুলো বিক্রি করতে পারবেন এবং লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় অপর এক খামারী জানান, আমরা খামারে হাঁস পালন করতে গিয়ে প্রচুর ব্যায় হয়। প্রসেসিং খাবার (ফিড) এর মূল্য বেশি হওয়ায় উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে যৎসামান্য আয় হয়। কিন্তু ক্ষেত থেকে ধান তুলে নেয়ার ১৫ থেকে ২০ দিন আগে হাঁসের বাচ্চা লালন পালন শুরু করলে আবারো ধানরোপনের পূর্বেই আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশে লালন পালন করে বাজারজাত করতে পারবো। এভাবে আমাদের ব্যায়ও অনেক কম হবে এবং সাশ্রয়ের পাশাপাশি প্রচুর আয় হবে।