রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীর সম্মাননা অনুষ্ঠানে কেয়া খান নারী ও পুরুষ যেন সমাজে সমানভাবে ভূমিকা রাখতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক কেয়া খান বলেছেন, পুরুষরা সচেতন না হলে নারীরা যতই শিক্ষিত ও ক্ষমাতায়িত হলেও তাদের কাঙ্ক্ষিত মর্যাদাটুকু পান না। সবাই সহযোগী ও সহমর্মি। সরকার নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।কিন্ত বাল্যবিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়নি কোন কোন জায়গায় এখনো ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাল্য বিয়ে হচ্ছে। পড়াশোনা,কাজের ক্ষেত্রসহ কোন জায়গায় নারীরা যেন আর বাধার শিকার না হয় এজন্য সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নারী ও পুরুষ যেন সমাজে সমানভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। আলাদা করে নারীদের যেন কোন সম্মাননা দিতে না হয়। নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে।
আজ (২৮ জানুয়ারি) মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর পর্যটন মোটেল মিলনায়তনে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীর পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নানা প্রতিকূলতা ও বাধা পেরিয়ে সফল রংপুর বিভাগের পাঁচ নারীকে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারীর সম্মাননা দেয়া হয়েছে। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- এড. আনজুমান আরা শাপলা (সমাজ উন্নয়ন),হোসনে আরা বেগম (নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু), মেরিনা বেসরা (সফল জননী), ফারহানা বিনতে আলম (শিক্ষা ও চাকরি), মাছুমা খানম (অর্থনৈতিকভাবে সফল)। তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকার চেক, ক্রেস্ট, স্যাশ (উত্তরীয়) ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অদম্য নারীদের সম্মাননা দেয়া হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, রেঞ্জ ডিআইজি আমিনুল ইসলাম,মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী,জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মনির হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রংপুরের উপপরিচালক মোছা. সেলোয়ারা বেগম, শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ফারহানা বিনতে আলম, এ্যাড. আনজুমান আরা শাপলা।