গঙ্গাচড়ায় দুই নারীর বিরুদ্ধে দুই ব্যবসায়ীকে মারধর ও জোরপূর্বক টাকা, মোবাইল নেয়ার অভিযোগ

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই ব্যবসায়ীকে মারপিট করে জোরপূর্বক টাকা ও মোবাইল নেয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই নারীর বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের চৌধুরীর হাটে। খবর পেয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মারপিটের শিকার চৌধুরীর হাটের ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ পানাপুকুর পূর্ব পাড়া এলাকার মৃত কেরু বর্মনের ছেলে নারায়ন চন্দ্র রায় (৪৮) জানান, দক্ষিণ পানাপুকুর চৌধুরীপাড়ার মৃত্যু শমসের আলীর মেয়ে শরিফা বেগম (৩৫) এর সাথে আমার পূর্ব শত্রুতা ছিল।
এ শত্রুতার জেরে বুধবার আনুমানিক দশটার দিকে শরিফা ও তার বোন সখিনা বেগম লাঠি নিয়ে নারায়ণের দোকানে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে নারায়ণ প্রতিবাদ করলে তারা নারায়নকে মারপিট করে তার পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
চৌধুরীর হাটের আরেক ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া (৩৫) বলেন, আমি নারায়নকে মারধর করার ঘটনা দেখে তার দোকানে এগিয়ে যাই। এ সময় শরিফা ও সখিনা মারধরের ঘটনার মিথ্যা ভিডিও করার অভিযোগ দিয়ে আমাকে মারধর করে দুইটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট ও পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এগিয়ে আসলে তারা মোবাইল ও টাকা নিয়ে দ্রুত বাড়িতে চলে যায়।
স্থানীয় সবুজ মিয়াসহ প্রায় ৫০ জন বাসিন্দা বলেন, ওই দুই নারী খুবই খারাপ। তারা এলাকার বেশ কয়েকজনকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মামলা দিয়েছে। স্থানীয়রা তাদের ভয়ে সব সময় থাকে। আজকে দুই ব্যবসায়ীকে মারপিট, টাকা ও মোবাইল ফোন নেয়ার ঘটনা সঠিক।
বড়বিল ইউপি সদস্য একরামুল হক বলেন, কিছুদিন আগে একটি সমস্যার কথা বলে শরিফা তার বাড়িতে ডেকে নেয়। পড়ে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা থানায় করেন। ওই মামলাটি এখনো আদালতে চলমান রয়েছে। সঠিক তদন্ত করে
ওই দুই নারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের নিকট অনুরোধ জানান। এ বিষয়ে শরিফা ও সখিনার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা মোবাইল নিয়েছি কিন্তু টাকা নেইনি। গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি আল এমরান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।