১৫ বৈশাখ, ১৪৩২ - ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ - 29 April, 2025

বদরগঞ্জে দোকানঘর ভাড়ার জেরে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আশঙ্কাজনক ৫ জন হাসপাতালে

3 weeks ago
79


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরের বদরগঞ্জে ভাড়াটিয়া ও দোকান মালিকের দ্বন্ধের জেরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটে শনিবার(৫ এপ্রিল) দুপুরে রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরশহরে। এদিকে বদরগঞ্জ উপজেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার, সিনিয়ন যুগ্ন আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক ও সাবেক যুগ্ন সম্পাদক কালুপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারমান শহিদুল হক মানিককে কারণ দর্শানোর নোটি দেওয়া হয়েছে। রংপুর জেলা বিএনপির চলতি দায়িত্ব পাপ্ত সদস্য মো. হারুন অর রশিদ পত্র প্রাপ্তি ৭২ ঘন্টার মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বলেন। 

গুরুতর আহতরা হলেন, উপজেলা বিএনপির কর্মী বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের লাভলু মিয়া (৫০), কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর গ্রামের মোক্তারুল ইসলাম( ৪৫), একই ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের মুন্নাফ(৫০), লোহানীপাড়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম (৪৫) একই ইউনিয়নের ময়নাল হোসেন (২৫)। আরো অন্তত তিনজন আহত হন।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ পৌরশহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন ঢেউটিন ব্যবসায়ী জাহিদুল হক

জোয়ারদার একই এলাকার ইশতিয়াক বাবুর নামে এক ব্যক্তির দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। সম্প্র্রতি দোকান ঘর ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইসতিয়াক বাবু ভাড়াটিয়া জাহিদুল হককে চাপ দেয়। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে দুই পক্ষের মধ্যে চরম দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। পরে ব্যবসায়ী জাহিদুল হক বিএনপি নেতা ও কালুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিকদের কাছে আশ্রয় নেন। একই ঘটনায় ইশতিয়াক বাবু বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র অন্যতম নেতা সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের কাছে আশ্রয় নেন। এই ঘটনার জেরে মোহাম্মদ আলী সরকার ও  শহিদুল হক মানিকের মধ্যে দ্বন্ধের সৃষ্টি হয়। শনিবার সকাল থেকে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র লাঠি সোটা ছোরা বল্লম তীর ধনুক নিয়ে একে অপরকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে শহীদুল হক মানিকের লোকজন মোহাম্মদ আলী সরকারের লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থক  বিএনপির কর্মী ৫ গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে দুইজন পথচারিও গুরুতর আহত হয়। এর আগে জাহিদুল হক

জোয়ারদার দোকান খুলে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।  পরে মোহাম্মদ আলী সরকারের লোকজন তা ভেস্তে দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে

উত্তজনা আরো বৃদ্ধি পায়। নিজের জান মাল রক্ষায় পৌরশহরের সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পৌরশহরে। পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বেলা দুইটার দিকে পৌরশহরের সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্য টহল দেয়।   এ ঘটনায় বদরগঞ্জ  থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শহরে  পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের সহায়তা করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ধরতে অভিযান চালানো হবে। আহতদের মধে কোন পক্ষের স্বজন অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth