১২ বৈশাখ, ১৪৩২ - ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ - 25 April, 2025

রংপুরে ভুমিদস্যু ও মাদক সম্রাট থেকে পৈত্রিক জমি উদ্ধারে সাংবাদিক সম্মেলন

1 week ago
62


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুর নগরীর ভগিবালা পাড়ায় ভুমিদস্যু-মাদক সম্রাট আনারুল ও  তমিজ উদ্দিন গং থেকে পৈত্রিক জমি উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্তভোগি পরিবার।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে নগরীর ভগিবালা পাড়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষে আনোয়ার হোসেন।

লিখিত বক্তব্য তিনি জানান, রংপুর নগরীর ভগিবালাপাড়ায়, জেএল নং-৬১, সিএস খতিয়ান নং-৬৮৪, এসএ খতিয়ান নং- ৫৯০, আরএস খতিয়ান নং-৬৫১, সাবেক দাগ নং-২৫৮, হাল দাগ-৯০৭, জমি-১০.৭৫ এর মধ্যে- ৩.৭৫ শতক জমির বর্নিত সিএস রেকর্ডীয় মালিক ভরসা শেখ। ভরসা শেখ জমি ভোগ দখলকালে মৃত্যু বরণ করলে ওয়ারীশ সুত্রে তার দুই কন্যা তমিজন বিবি ও নহিতন নেছা প্রাপ্ত হন এবং ভোগকালীন তাদের নামে এস এ মাঠ রেকর্ড সম্পন্ন হয়।

পরবর্তীতে ভরসা শেখের দুই কন্যা তফশীল বর্ণিত জমি কবলা দলিল নং- ১২২১৮/১৯৬৮  মূলে ছফর উদ্দিন বরাবরে হস্তান্তর করেন। ছফর উদ্দিন তফশীল বর্নিত জমি যার কবলা দলিল নং- ২৪৩২১ তাং ০৫/০৭/১৯৭৪ ইং মুলে দাদি ছমিরন নেছা ও চাচা ছমির উদ্দিনের নিকট হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে দাদী ছমিরন নেছা ও চাচা ছমির উদ্দিন মিলে তফশীল বর্নিত জমি যার দলিল নং-৩৬৯০৮/৭৫ তাং ১৮/০৮/১৯৭৫ মুলে আমার বাবা কামের উদ্দিন @ কান্টুর কাছে হস্তান্তর করেন। সেই অনুযায়ী ১৯৯২ সালের আর এস মাঠ রেকর্ড আমার বাবার নামে সম্পন্ন হয়। সেই জমি ২৬/১২/২০১০ সালে হেবা দলিলে আমাদের তিন ভাই যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান এবং মনোয়ার হোসেন এবং দুই বোন ফেন্সি বেগম ও আমেনা বেগমের নামে ০.০৩৭৫ শতক জমি হস্তান্তর করেন। যার দলিল নং-২১৮৪৫/২০১০। পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া জমিতে আমরা দোকানপাট নির্মান করে ভোগ করতে থাকি। হঠাৎ কিছু দিন পূবে ভুমিদস্যু-চাঁদাবাজ ও মাদক সম্রাট আনারুল ও  তমিজ উদ্দিন গং বিধি বর্হিভূত ভাবে আমাদের তফশীল বর্ণিত জমির মালিকানা দাবী করে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি হুমকী প্রদান করতে থাকে। এক পর্যায়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর আনারুল ও  তমিজ উদ্দিন গং আমার দোকানে এসে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে, সেই দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর করে। এতে বাধা দিলে মারপিট করে এবং আমার স্ত্রীর কাপড় টেনে হেচরে শ্লাতহানি ঘটায়। প্রাণ বাঁচাতে তাদের হাত থেকে কোনমতে পালিয়ে যাই। এই সুযোগে তারা দোকান থেকে ৭৫ হাজার টাকা মালামাল লুট করে এবং ক্যাশ থেকে ২২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। সেই সাথে দোকান ভাংচুর করে প্রায় ১৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনায় গত বছরের ৩ ডিসেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরে পর থেকে আমাদের উপর অত্যাচার আরো বেড়ে গেছে। শুধু তাই নয় এলাকায় শান্তিতে থাকতে দেবে না, সেই সাথে গোপনে মাদকদ্রব্য দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে এবং আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের চরম ক্ষতি করবে বলে হুমকী দিয়ে আসছে তারা।

 

তিনি আরো বলেন, ভুমিদস্যু ও মাদক সম্রাট আনারুল একজন তালিকাভুক্ত পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, যার কারনে তার ছবি থানায় ঝুলানো আছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা আদালতে বিচারাধীন। এ বিষয়গুলো উল্লেখ করে ইতিমধ্যে যৌথবাহিনী রংপুর, র‌্যাব ১৩ ও পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। এসময় তিনি পৈত্রিক জমি রক্ষাসহ পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth