চীনের অর্থায়নে হাসপাতাল তিস্তা নদী বেষ্টিত গঙ্গাচড়ায় নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন-সমাবেশ

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি:
চীন সরকারের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল তিস্তা নদী বেষ্টিত রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নির্মাণের দাবীতে মানববন্ধন-সমাবেশ হয়েছে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের তিস্তা সড়ক সেতুর কাছে এ কর্মসূচীতে গঙ্গাচড়া উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংষ্কৃতিক, রাজনৈতিক, পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ তিস্তা নদীবেষ্টিত চরের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন। তিস্তা উন্নয়ন ফোরাম আয়োজিত এ মানববন্ধন সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকার এর সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী।
বক্তব্য রাখেন ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান দুলু, এ্যাডভোকেট সামসুল হুদা, টিম জিয়নের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান লুলু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল আলম দুলু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, জামায়াতে ইসলামী উপজেলা আমীর মোঃ নায়েবুজ্জামান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন সুজন, জামায়াতের রংপুর জেলার সাবেক নায়েবে আমীর আব্দুল গণী,
উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু, জামায়াতে ইসলামী রংপুর মহানগর সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক রায়হান সিরাজী,
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজীব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা আহবায়ক ইমরান আহম্মেদ,গঙ্গাচড়া উন্নয়ন ফোরামের প্রতিনিধি এমদাদুল গণী লিটন, জাতীয় নাগরিক পার্টি গঙ্গাচড়ার প্রতিনিধি ইফাত চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গঙ্গাচড়া উপজেলা সভাপতি আনিচুর রহমান, সেক্রেটারি ইউনুস আলী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন গঙ্গাচড়ার প্রতিনিধি শাহজালাল শ্রাবনসহ অন্যরা।
কর্মসূচীতে বক্তারা বলেন, চীন বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরিক্ষিত বন্ধু। তারা বাংলাদেশে এক হাজার শয্যার ৩টি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দিয়ে বন্ধুত্বের নজির স্থাপন করেছে। তার মধ্যে একটি হাসপাতাল তিস্তা নদীর অবহেলিত এলাকায় প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। গঙ্গাচড়া তিস্তা নদীর কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা। তাই অবহেলিত, ভাঙ্গন কবলিত তিস্তাপাড়ের মানুষের স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন-মান উন্নয়নে গঙ্গাচড়ার লহ্মীটারী ইউনিয়নে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জোর দাবী জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, বিভাগীয় জেলা হওয়ায় রংপুরে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হলে প্রতিটি জেলার মানুষের চিকিৎসা নিতে সহজ হবে। এ লক্ষ্যে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।