৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ - ২৩ মে, ২০২৫ - 23 May, 2025

কিশোরগঞ্জে চার দিন ধরে অন্ধকারে পল্লী বিদ্যুতের তিন হাজার গ্রাহক দুর্ভোগে কর্মজীবি মানুষ

3 weeks ago
124


কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ

চারদিন আগে কাল বৈশাখী ঝড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ চালু করার ব্যাপারে কোন তৎপরতা নেই নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলা পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস। ফলে ১৫টি গ্রামের প্রায় ৩ হাজার গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছে। সবচেয়ে চরম দূর্ভোগে পরেছে অটোভ্যান চালকরা। তাদের অটো ভ্যানের ব্যাটারীতে চার্জ দিতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছে প্রায় ২ শতাধিক কর্মজীবি মানুষ। কিশোরগঞ্জ উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। গত শনিবার হঠাৎ করে রাত দশটা থেকে ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘন্টার ঝড়ে পল্লী বিদ্যুতের দুটি স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে যায়, ছয়টি পোল হেলে পরে এবং এক হাজারের বেশি জায়গায় সংযোগ ছিড়ে গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরে গোটা উপজেলা। রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত পল্লী বিদ্যুতের লোকজন ভেঙ্গে পড়া খুটি পুর্ননির্মান, হেলে পড়া খুটি সোজাকরন এবং ছিড়ে যাওয়া তাঁর মেরামত করে গত তিন দিনে কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত ১৫ টি গ্রামের তিন হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে পারেনি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা গ্রামগুলো হলো, মাগুড়া ইউনিয়নের পাঠানপাড়া,সিঙ্গেরগাড়ী,শাহপাড়া,রণচন্ডি ইউনিয়নের অবিলের বাজার সোনাখুলি, চাঁদখানা ইউনিয়নের নগরবন, সরঞ্জাবাড়ীসহ আরো অনেক গ্রাম। ফলে ওই গ্রামগুলোর হাজার হাজার মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে। চাঁদখানা ইউনিয়নের নগরবন গ্রামের বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বলেন, গত চারদিন ধরে আমার এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকার কারনে আমার গ্রামের শত শত বাড়িঘর অন্ধাকারে রয়েছে। এতে করে চোরের উপদ্রপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাগুড়া ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের আনিছুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়িতে চারদিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রক্ষিত মাছ মাংশ পচন ধরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এছাড়া বাড়িতে আলো জ্বালানোর মোমবাতি কিনতে গিয়ে প্রতিটি ৫ টাকার মোমবাতি ১০ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। নগরবন গ্রামের অটো চালক মজিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় চারদিন থেকে অটোভ্যান চালাতে পারিনি। ধার দেনা করে কোন রকমে চলছি। রণচন্ডি অবিলের বাজারের আতিয়ার রহমান বলেন, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় এলাকায় চোরের উপদ্রপ অনেক বেড়ে গেছে। কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসার (ডিজিএম) নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে , পল্লী বিদ্যুতের ট্রান্সফরমান বিকল, সেকশন ফিউজ কাঁটা ও সংযোগ তাঁর ছিড়ে যাওয়ার কারনে এখন পর্যন্ত ১৫ টি গ্রামের তিন হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে তিনি জানান, মঙ্গলবার রাত বারোটার আগেই এসব গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করছি।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth