পাঁচ দফা দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

মহানগর প্রতিবেদক:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত ৩২ বছর যাবৎ চলমান মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) শীর্ষক সমাপ্ত প্রকল্পের জনবলকে রাজস্বকরণ এবং ১জানুয়ারি ২০২৫ থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা পবিত্র ঈদুল আযহার পূর্বেই প্রদানের লক্ষ্যে ৮ম পর্যায় প্রকল্প পাশের অনুমোদনসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্পের শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
শনিবার (১৭ মে) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদ ভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম (৮ম পর্যায়) প্রকল্পের শিক্ষক, কেয়ারটেকার ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।
এদিকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম একটি জননন্দিত প্রকল্প। সারাদেশে প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষা কেন্দ্রে ইমাম ও মহিলা শিক্ষক নিয়ে বেশ সুনামের সাথে কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া এ প্রকল্প বিভিন্ন বাঁধা বিঘ্ন অতিক্রম করে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের ৭ম পর্যায় কার্যক্রম শেষ করেছে। প্রকল্প শেষ হলেও-এর কার্যক্রম ১ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. থেকে চলমান আছে। কারণ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাবতীয় কাজ এ বৃহৎ জনগোষ্ঠীই আনজাম দিয়ে থাকে। প্রায় ৮০ হাজার শিক্ষক কেয়ারটেকারকে দ্রব্যমূল্যের এ বাজারে এখনও তাদের চলতে হয় ৫০০০/= (পাঁচ হাজার) টাকার মাসিক ভাতায়।
প্রকল্পের ১ম ও ২য় পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবল ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক রাজস্ব খাতের আওতাভুক্ত হলেও ৩য় থেকে ৭ম পর্যায়ের জনবল এখনও রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। যদিও সরকারি নির্দেশনা ছিল ১৯৯৭ সালের পূর্বের সমস্ত প্রকল্পের জনবল মেয়াদ শেষে বিনাবাধায় রাজস্ব খাতভূক্ত হবে। ৩২ বছর যাবৎ চলমান এ প্রকল্পের জনবলকে রাজস্ব খাতভূক্ত করতে সরকারের অতিরিক্ত একটি টাকাও প্রয়োজন না থাকলেও তা রাজস্ব খাতভূক্ত করা হচ্ছে না।
প্রকল্পের মাত্র ৭০০ জন জনবলকে দ্রুত রাজস্ব খাতভূক্ত করে এবং শিক্ষক-কেয়ারটেকার ও কর্মীদের স্কেলভুক্ত করে সময়োপযোগী বেতন বৃদ্ধি পূর্বক ১ জানুয়ারি ২০২৫ খ্রি. থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা ঈদুল আযহার পূর্বেই প্রদানের জন্য জোড় দাবি জানানো হয়।
এ সময় মউশিক শিক্ষক কল্যাণ পরিষদ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি একরামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আখলাক আহমেদসহ জেলার নেতৃবৃন্দ মাহমুদুর রহমান, নুরে আলম, মোঃ রেজাউল ইসলাম, সাইদুর রহমান, মোঃ সাইফুল আলম বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে রংপুর জেলার আট উপজেলার মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-কেয়ারটেকার ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।