রক্তিম কৃষ্ণচূড়া ফুল মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে নীলফামারীতে

সিএসএম তপন নীলফামারী:
গ্রীষ্মের কখনও কড়া রোদ, কখনও মাঝারী বৃষ্টিতে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া ফুল তার ডানা মেলে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে নীলফামারীর জনপদে। মেঘ কেটে যখন এক চিলতে রোদ উঁকি দেয়, তখন আরো মোহনীয় হয়ে উঠে এর বর্ণিল রূপ।
নীলফামারীর পথে-প্রান্তরে এখন দেখা মিলছে রক্তিম কৃষ্ণচূড়া। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে বর্ষার বার্তা নিয়ে আসলেও গ্রীষ্মের চিরায়ত সৌন্দের্যের প্রতীক কৃষ্ণচূড়া ফুল প্রকৃতিতে মূর্ত হয়ে উঠেছে। ঝলমলে রোদে এর অপরূপ সৌন্দর্য চোখ জুড়ায়। সবুজ পাতার ফাঁকে মোরগের লাল ঝুঁটির মতো ফুলের সমাহার। সবুজের মাঝে লালের মূর্ছনা। এই অপরূপ সাঁজ দেখে মনে আনে প্রশান্তি ।
নানা প্রজাতির ফল ও ফুলগাছ সজ্জিত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসে দেখা মিলছে লাল রঙে রজ্জিত মাঝারী গোছের কৃষ্ণচূড়ার গাছ। এতে ডানা মেলেছে টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া ফুল। বর্ণময় রঙ এর কাছে সবুজ পাতা যেন হারিয়ে গেছে। পাশেই শহরের হার্ড পয়েন্ট কৃত্রিম প্রাণহীন ঝর্ণারমোড়ে থাকা লোকজন এই কৃষ্ণচুড়া গাছের নান্দনিকতা উপভোগ করছেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচুড়া ফুল তার শোভাবর্ধণ করছে।
প্রকৃতিপ্রেমিক আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির মধ্যে কৃষ্ণচূড়া ফুল একটি অনন্য নিদের্শন। পৃথিবীতে আল্লাহ্র মহিমার শেষ নেই। পথচারী আব্দুল মতিন বলেন, যাঁরা ফুলপ্রেমী মানুষ, তাঁদের কাছে কৃষ্ণচূড়া বেশ পছন্দের ফুল। মাথার উপর লাল ফুল, পায়ের নীচে ঝরা ফুলের বিছানা; দেখতে খুবই সুন্দর। কৃষ্ণচূড়ার রূপে মুগ্ধ হয়ে পথচারীরাও চলার পথে ক্ষণিক থমকে তাকান।
বাংলা সাহিত্য, কাব্য ও সংগীতে এসেছে এই ফুলের কথা। শুধু কেতাবে নয়, সব শ্রেণি-পেশার মানুষের চোখ জুড়িয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া। তাই তো বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন– গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী, কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরী।