৩ আষাঢ়, ১৪৩২ - ১৭ জুন, ২০২৫ - 17 June, 2025

রৌমারীতে সরকারি পাঠাগারের জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ:  দীর্ঘ ২৫ বছরে হয়নি উচ্ছেদ

2 weeks ago
69


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা পরিষদের পাঠাগারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি জমি দখল করে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন সাজেদা খাতুন নামের এক প্রভাবশালী নারী ।  দীর্ঘ দিনেও অবৈধভাবে দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।

উপজেলার পরিষদের বিএডিসি ভবন এলাকার ওই বাড়িতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের যাতায়াত থাকায় স্থানীয়রাও ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। যার ফলে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আটকে আছে উপজেলা প্রশাসনের পাঠাগার নির্মাণ কার্যক্রমটি ।

বসতবাড়ি উচ্ছেদ বা পাঠাগার নির্মাণ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাও নিতে দেখা যায়নি স্থানীয় প্রশাসনকে।

অভিযুক্ত নারী সাজেদা খাতুন উপজেলার সদর ফায়ার সার্ভিস পূর্ব এলাকার মৃত মজনু মিয়ার স্ত্রী।

 অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের পাশেই উপজেলা ফায়ার ষ্টেশনের কাছে ২০ শতক জায়গার উপর নিজের পাকা বাড়ি থাকা শর্তেও উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে বসতবাড়ি করে উপজেলা পরিষদের জমি দখলে রেখেছেন ও ওই বাড়িতে বসবাস করছেন সাজেদা খাতুন । কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন।

প্রভাবশালী একটি মহলের ছত্রছায়ায় দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে দখলে রয়েছে বাড়িটি। বাড়িটির মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজনের যাতায়াত থাকায় স্থানীয়রা ভয়ে কেউই কথা বলার সাহস পাননা। যার ফলে দিনের পর দিন নিজের দাপট আর ক্ষমতা দেখিয়ে যাচ্ছেন সাজেদা খাতুন। সাজেদা খাতুনের স্বামী মজনু মিয়া ২০২০ সালে উপজেলা প্রশাসনের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ছিলেন। দেড় বছর হলো তিনি মারা গেছেন।

দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের বিএডিসি ভবন লাগোয়া বসতবাড়ি নির্মাণ করে দখলে রেখেছেন সাজেদা খাতুন.। ওই বাড়িতে বসবাস করছেন তিনিসহ তার সন্তান মনিরা খাতুন। অথচ উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের সামনে মহাসড়কের পূর্বপাশে ২০ শতক জমির উপর পাকা বাড়ি নির্মাণ করা রয়েছে ওই নারীর। এরপরও উপজেলা পরিষদের সরকারি জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বাস করছে তিনি।

অভিযুক্ত সাজেদা খাতুন বলেন,’আমার স্বামী মৌখিকভাবে অনুমতি নিছে ২৫ বছর আগে। তৎকালীন ইউএনও থাকার পারমিশন দিছে। এরপর কোনও ইউএনও আমাদের কিছু বলে নাই।’

আপনার তো ফায়ার সার্ভিসের রাস্তার পূর্ব পাশে বিল্ডিং বাড়ি আছে, তাহলে ওই সরকারি জায়গায় থাকছেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন,’আমার ওই বাড়ির যাতায়াতের রাস্তা নাই। রহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে থাকলে আমি এই দেশের নাগরিক হয়ে কেন সরকারি জায়গায় থাকতে পারবো না ?’

এ বিষয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার হালদার  বলেন, উপজেলা পরিষদের জায়গা অবৈধভাবে দখলে রাখার কোনো সুযোগ নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে দ্রুত আমরা ব্যবস্থা নিয়ে লাইব্রেরি নির্মাণ করবো।’

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth