লালমনিরহাটে ৬ শিক্ষার্থী হত্যার ৯ মাস পরে মামলা, গ্রেপ্তার ৯

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
গত বছরের ৫ আগস্ট লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের বাড়ি থেকে ছয় শিক্ষার্থীর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনার ৯ মাস পরে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানকে প্রধান করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের ৯ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী আরমান আরিফ। আরমান আরিফ লালমনিরহাট পৌরসভার খোদ্দসাপটানা নর্থবেঙ্গল মোড় এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
আওয়ামী লীগ নেতার পোড়া বাসা থেকে যেসব শিক্ষার্থীর পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়, তাঁরা হলেন, জোবায়ের হোসেন, আল শাহরিয়ার রিয়াদ তন্ময়, শাহরিয়ার আল আফরোজ শ্রাবণ, জনি মিয়া, রাধিক হোসেন রুশো ও রাজিব উল করিম সরকার।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, প্রধান আসামি সুমন খানের নেতৃত্বে তার বহুতল বাড়িতে ছয় শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে অপকৌশলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে তাঁরা অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। ঘটনার এক দিন পরে সেনাসদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওই বাসা থেকে ছয় শিক্ষার্থীর পোড়া লাশ উদ্ধার করে।
এদিকে লালমনিরহাট পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবু জায়েদ ভুট্টুসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন এই মামলার প্রধান আসামি সুমন খানসহ পাঁচজন। সব মিলে এই মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুন্নবী বলেন, ‘মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মামলায় ৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।