হাতীবান্ধায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার ঘাপলা ; ফেসে যেতে পারেন একাধিক পিআইও !

লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম শাহসহ একাধিক সাবেক কর্মকর্তার-র বিরুদ্ধে ৪ অর্থ বছরে প্রায় ৩ কোটি ৫৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ২৩ টাকা ও ৪০৪ মে: টন চাউল ব্যয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মন্ত্রলায়ের এক অডিট প্রতিবেদনে ওই টাকা ও চাউল ব্যয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। ফলে অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ফেঁসে যেতে পারে হাতীবান্ধা উপজেলা কর্মরত ছিলেন এমন একাধিক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।
ওই অডিট প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০১০ - ১১ অর্থ বছরে সেতু প্রকল্পের বিলে ১৮ হাজার ১৩ টাকা , ২০২১-২২ অর্থ বছরে এইচবিবি প্রকল্পে ৯৩ হাজার ৮ শত ২০ টাকা, ২২ - ২৩ অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯ শত ৫৯ টাকা ও কাবিটা প্রকল্পে ৪ লক্ষ টাকা , ২৩-২৪ অর্থ বছরে টিআর প্রকল্পে ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৬ শত ১৭ টাকা, হেরিং বোন প্রকল্পে ৮৮ হাজার ৮ শত ৯ টাকা, কাবিটা প্রকল্পে ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮ শত ৫ টাকা ও ৪ শত ৪ মে টন চাউল এবং অপর কাবিটা প্রকল্পে ৮১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি পেয়েছেন মন্ত্রলায়ের অডিট টিম। যে কারণে অডিট প্রতিবেদন আপত্তি দিয়েছেন মন্ত্রলায়ের অডিট টিম। ২০২৩-২৪ এক অর্থ বছরেই ৩ কোটি ৫০ লক্ষ লক্ষ ৬৭ হাজার ২৩১ টাকা ও ৪ শত ৪ মে টন চাউল ব্যয়ে আপত্তি তুলেন ওই অডিট প্রতিবেদনে। তখন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ক কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন মাইদুল ইসলাম শাহ।
এ বিষয়ে মাইদুল ইসলাম শাহসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবী, অনিয়ম -দুর্নীতি নয় কাগজ পত্রে কিছু অসংগতি পাওয়ার কারণে এমন হয়েছে। কাজগপত্র যাচাই-বাচাই করে আবারও প্রেরণ করলে আপত্তি উঠে যাবে।