১০ আশ্বিন, ১৪৩২ - ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ - 25 September, 2025

রংপুরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত

2 weeks ago
125


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রংপুরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয় এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘প্রযুক্তির যুগে সাক্ষরতার প্রসার’।

আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর)  রংপুর জেলা প্রশাসক হলরুমে সকাল ১১ টায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ রবিউল ফয়সাল।

জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৬৫ সালের নভেম্বর ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পরের বছর, ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদযাপিত হয়। 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাক্ষরতা শুধু অক্ষরজ্ঞান অর্জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং এটি মাতৃভাষায় পড়া, লেখা, অনুধাবন, যোগাযোগ ও গণনার দক্ষতার পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে জ্ঞান প্রয়োগের সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যম। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সাক্ষরতার বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ প্রতিবেদন (বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৫) অনুযায়ী, দেশের সাত বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাক্ষরতার হার ৭৮ % । রংপুরে সাক্ষরতার হার ৭০% । অন্যান্য জেলার তুলনায় রংপুরে সাক্ষরতার হার নাজক অবস্থা।

অর্থাৎ, এখনও প্রায় ২২% মানুষ নিরক্ষর রয়ে গেছে। এই জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ বিদ্যালয়বহির্ভূত শিশু, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা থেকে বঞ্চিত প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। তাদের সাক্ষরজ্ঞান ও কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধানে শিক্ষা অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার অঙ্গীকারের পাশাপাশি নিরক্ষরতা দূরীকরণেও সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

 

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন দিয়েছেন  বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকার জন্য কর্মমুখী ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে, যেখানে প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সবার জন্য– বিশেষ করে নারী, শিশু, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। শিক্ষকদের ডিজিটাল প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের হাতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি এবং অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, এডিসি জেনারেল রমিজ এনাম,  তানজিলা আক্তার সহকারী পরিচালক জেলা উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যূরো রংপুর, নজরুল ইসলাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মুশফিকুর রহমান সাবেক সহকারী পরিচালক উপ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো রংপুর।

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth