হারাগাছে সুখী হত্যা মামলায় ৭ দিনে আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ এলাকায় নববধূ আয়েশা পারভীন সুখী (২০) হত্যাকাণ্ডের সাত দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নিহতের পরিবার, এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হারাগাছ পৌরসভার গোল্ডেনের ঘাট ব্রিজ সংলগ্ন বাজার এলাকায় এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহতের সহপাঠী, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। হাতে ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন—“খুনি জুয়েলের ফাঁসি চাই”, “আয়েশা আত্মহত্যা করেনি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে”, “অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তার করো” ইত্যাদি স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামে স্বামীর বাড়িতে খুন হন আয়েশা পারভীন সুখী। ওইদিন রাতেই নিহতের বাবা আবুল হোসেন কাউনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সুখীর স্বামী জুয়েল, জুয়েলের ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী, বাবা ও মাকে আসামি করা হয়। নিহতের সহপাঠীরা জানান, “আমরা প্রতিদিন থানায় যোগাযোগ করছি, কিন্তু কোনো অগ্রগতি দেখছি না। পুলিশের ভূমিকা খুবই হতাশাজনক।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ বলেন, ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক। কিন্তু পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এটা প্রশাসনিক ব্যর্থতা। সুখীর বাবা আবুল হোসেন বলেন, আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরছে না কারণ তারা প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এলাকাবাসীরা বলেন, এখন দেখার বিষয়, সাত দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রশাসনের আশ্বাস কবে বাস্তবে রূপ নেয় এবং নিহত আয়েশা পারভীন সুখীর পরিবার ন্যায়বিচার পায় কিনা।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিবুর রহমান বলেন, আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এই বিষয়ে কাজ করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারবো বলে আশা করি। এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ শাহ বলেন, আসামিরা পলাতক। তবে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।