১০ আশ্বিন, ১৪৩২ - ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ - 25 September, 2025

সবুজ পাতার ফাঁকে ঝুলছে রঞ্জু মিয়ার স্বপ্ন

1 week ago
49


মানজুরুল ইসলাম, লালমনিরহাট (কালীগঞ্জ):  

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে অন্যান্য কৃষি ফসলের পাশাপাশি সুস্বাদু পুষ্টিকর রসালো ফল মাল্টা চাষে ঝুঁকেছেন চাষিরা। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। তবে অন্যান্য ফল ও ফসলের দাম কমে যাওয়ায় এবং খরচ বেড়ে যাওয়ায় মাল্টার দিকে ঝুঁকেছেন চাষিরা। চাষিরা বলছেন, নতুন জাতের ফল ও ফসলের প্রতি সবারই আগ্রহ থাকে। স্থানীয় ভাবে উৎপাদন করা যেকোনো ফলের প্রতি ক্রেতাদেরও আগ্রহ থাকে এবং দামও ভালো পাওয়া যায়। এ কারণে কৃষকরা মাল্টা চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়েছেন।

কালীগঞ্জের কাকিনার কৃষক রঞ্জু মিয়া। তিনি ৬৫ শতাংশ জমিতে বারি-১ জাতের মাল্টা চাষ করেছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ঝুলছে সবুজ মালটা। তার পাশাপাশি মাল্টা বাগানের পরিত্যক্ত জায়গায় সাথী ফসল হিসেবে মুখি কচু ও সুপারির চারা রোপণ করেছে। একই জমিতে তিন ফসল আবাদ করে বাড়তি আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। স্থানীয় বাজার চাহিদা মিটিয়ে রঞ্জু মিয়ার বছরে আয় হচ্ছে ৪ লাখ টাকা।

কৃষক রঞ্জু মিয়া জানায়, বারি -১ জাতের মাল্টা চাষ করেছি। এ জাতের মালটার ফলন ও চাহিদা ভালো থাকায় ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। মাল্টা বাগানের ফাকা পরিত্যক্ত যায়গায় মুখি কচু ও সুপারির চারা রোপন করেছি। এতে কিছুটা বাড়তি আয় হচ্ছে। কৃষিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে দিকনির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, রঞ্জু মিয়া একজন সফল মাল্টা চাষী। তার মাল্টা বাগান দেখে অনেকে আগ্রহী হচ্ছে। দিন দিন এক জমিতে তিন ফসল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কালীগঞ্জ উপজেলায়।

উপজেলা কৃষি বিভাগেরর তত্বাবধানে নিয়মিত মাল্টার বাগান পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদান করা হয় বলে জানান ওই ব্লকের দায়িত্বে থাকা উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় জানায়, কালীগঞ্জ উপজেলার মাটি বেলে দোআশ এবং উচু হওয়ার কারনে সেইসাথে মাটিতে পিএইচ এর পরিমাণ কম হওয়ার কারণে এখানে মাটিতে এসিডিটি তাই মাল্টা ও কমলার ফলন ভালো হয়। কাকিনার কৃষক রঞ্জু মিয়া মালটা বাগানের ফাঁকে মুখি কচু এবং অন্য সবজি আবাদ করেছে। আশা করছি তাকে দেখে অন্যান্য কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হবে। বারি-১ লাভজনক ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় চাহিদা বেশি।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

// Set maxWidth